1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রান্তিক শিশুদের সহায়তায় সুইটবাইক

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

প্রত্যন্ত গ্রামের শিশু-কিশোরদের পক্ষে দূরে স্কুলে যাওয়াই অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে৷ দক্ষিণ আফ্রিকার এক এনজিও সেই দূরত্ব ঘোঁচাতে এক অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে৷ চাঁদার উপর নির্ভর করে তারা সেই কাজ করছে৷

https://p.dw.com/p/3pPqO
সুইটবাইক ও এক শিক্ষার্থী
সুইটবাইক ও এক শিক্ষার্থীছবি: Julia Jaki/DW

স্কুলে যাবার দীর্ঘ পথে পাড়ি দিয়ে এসিলে সজাদুর দিন শুরু হয়৷ পৌঁছতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে৷ সে দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের একটি গ্রামের মেয়ে৷ এই অঞ্চলে কোনো গণপরিবহণ ব্যবস্থা নেই৷ শিশুরা প্রায়ই দেরিতে স্কুলে পৌঁছায়, অথবা আদৌ স্কুলে যায়ই না৷ এসিলে ইনকুলু প্রাইমারি স্কুলে পড়ে৷

স্কুলের ডেপুটি প্রিন্সিপাল ভিকা মাডলালার মতে, বেশ কয়েকটি সমস্যার সমাধান করতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘দেরিতে স্কুলে আসার সমস্যা ছাড়াও স্কুলে না আসার প্রবণতাও আমাদের সামলাতে হয়৷ পথে মেয়েদের হাঁটাও একটা বিষয় বটে৷ জানেন তো, গোটা দক্ষিণ আফ্রিকায় অপরাধ এক বড় সমস্যা৷ সে কথাও ভাবতে হয়৷’’

কয়েক কিলোমিটার দূরে এক এনজিও স্থানীয় দরিদ্র পরিবারের শিশুদের পরিবহণ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছে৷ নাদিয়া এরাসমুস, আয়ান্দা মাসেনগেমি ও স্যাম ওয়েনগার ‘সুইটবাইক’ উদ্যোগের সদস্য৷

স্কুলের দূরত্ব ঘোচাতে অভিনব উদ্যোগ

সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড থেকে আনা ৪৭০টি সেকেন্ড হ্যান্ড সাইকেল নামানো হচ্ছে৷ ডারবান শহরের প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে মারগেটের কাছে বেশ কয়েকটি স্কুলপড়ুয়াদের কাছে সেগুলি পৌঁছে দেওয়া হবে৷ আয়ান্দা মাসেনগেমি বলেন, ‘‘যখনই নতুন কন্টেনার আসে আমি শিশুর মতো উৎসাহ নিয়ে প্যাকেট খুলতে যাই৷ কন্টেনার এলে মনে হয় আমরা এই দেশে একটা পরিবর্তন নিয়ে আসছি৷ খুবই সুন্দর অনুভূতি৷’’

দুই বছর আগে যাত্রা শুরু করে সুইটবাইক এরই মধ্যে বিভিন্ন স্কুলে প্রায় ২,০০০ বাইসাইকেল পৌঁছে দিয়েছে৷ সুইটবাইকের ওয়ার্কশপে প্রত্যেকটি সাইকেল জোড়া দিতে হয় ও পরীক্ষা করতে হয়৷

চাঁদার উপর নির্ভর করে এই প্রকল্প চালানো হচ্ছে৷ টাকার অঙ্কের উপর নির্ভর করে স্যাম ওয়েনগার ও তাঁর টিম প্রতি বছর কয়েকটি কন্টেনার-ভর্তি সাইকেল আমদানি করেন৷ করোনা সংকটের কারণে সম্প্রতি সাইকেল পেতে বিলম্ব ঘটছে৷ সংগঠনের প্রতিনিধি স্যাম ওয়েনগার বলেন, ‘‘উৎসব মরসুমের আগে স্কুল বন্ধ হওয়া পর্যন্ত আমরা যত বেশি সম্ভব সাইকেল বিতরণের চেষ্টা করছি৷ এই মুহূর্তে চাপ থাকলেও আমরা সামলে নেবো৷’’

ওয়ার্কশপে পাঁচ জন শিক্ষানবিশ মিস্ত্রী কাজ করেন৷ নাদিয়া এরাসমুস সেটির দায়িত্বে রয়েছেন৷

ইয়ুলিয়া ইয়াকি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান