1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডেনমার্কের মানুষের প্রিয় টিভোলি পার্ক

২২ আগস্ট ২০১৮

বেশিরভাগ শহরেই এমন কোনো জায়গা পাওয়া যায়, যেখানকার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জড়িয়ে থাকে৷ ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে টিভোলি এমনই এক স্থান৷ ১৭৫ বছর পরেও তার আকর্ষণ কমার বদলে বেড়েই চলেছে৷

https://p.dw.com/p/33X90
Tivoli in Kopenhagen
ছবি: Afshar Salehi

কোপেনহেগেন শহরে টিভোলি বিশ্বের প্রাচীনতম থিম পার্কগুলির অন্যতম৷ সেখানে শুধু রোলার কোস্টার ও নাগরদোলা নয়, সংস্কৃতি ও খাদ্যরসের স্বাদও পাওয়া যায়৷ ডেনমার্কের মানুষ ও বাকি বিশ্ব থেকে আসা পর্যটকরা সেই অনবদ্য পরিবেশ উপভোগ করেন৷

পার্কের মধ্যে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো ১০০ বছরেরও বেশি পুরানো কাঠের রোলার কোস্টার৷ প্রত্যেক কামরার মধ্যে একটি করে ব্রেক রয়েছে৷ সঠিক জায়গায় গতি কমাতে সেটি কাজে লাগতে হয়৷ রোলার কোস্টার কর্মী স্টেফান ইয়োর্গেনসেন বিষয়টি বুঝিয়ে বললেন, ‘‘মানুষই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, কম্পিউটার বা অন্য কিছু নেই৷ সবই আমার হাতে৷ অর্থাৎ আমি ভুল করলে আমরা দেওয়ালে ধাক্কা খাবো৷ অতএব গুড লাক!''

দিনে ৮০ থেকে ১,২০০ বার রোলার কোস্টার চালানো হয়৷ সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার৷

১৭৫ বছর ধরে টিভোলি চালু রয়েছে৷ প্রথমদিকে সমালোচনা শোনা যেত৷ নিন্দুকরা বলতেন, মনোরঞ্জনের জন্য টাকা নষ্ট না করে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে মন দেওয়া উচিত৷ কিন্তু এমন কণ্ঠ বহুকাল আগেই স্তব্ধ হয়ে গেছে৷ আজ টিভোলি কোপেনহেগেন শহরের ডিএনএ হয়ে উঠেছে৷ টিভোলির দীর্ঘদিনের কর্মী এলেন ডাল বলেন, ‘‘ডেনমার্কের সব মানুষ, বিশেষ করে কোপেনহেগেন এলাকার সব মানুষের টিভোলি নিয়ে শৈশবের স্মৃতি রয়েছে৷ তাই টিভোলিতে এলে শুধু রোলার কোস্টার চাপা, খাদ্য বা কনসার্ট নয়, শৈশবের স্মৃতি জেগে ওঠে৷ নির্দিষ্ট কিছু আবেগ নিজের সন্তান বা অন্য প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায়৷''

১৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে চলতি মরসুমে প্রতিদিন টিভোলির মধ্য দিয়ে বড় প্যারেড হয়৷ ২২ জন অভিনেতার জন্য এই কাজ নিছক চাকরি নয়৷ অনেকে বহু বছর ধরে তাতে অংশ নিচ্ছেন৷ তাঁদেরই একজন রবিন বার্নাডেট৷ তিনি বলেন, ‘‘কখনোই রুটিন কাজ মনে হয়নি৷ কারণ পার্কে সব সময়ে কিছু না কিছু হচ্ছে৷ কয়ার থেকে গসপেল সংগীত, গ্রিনল্যান্ড দিবস থেকে ‘৫০ সেন্ট' গোষ্ঠীর কনসার্ট৷ তাই পার্কে একঘেয়েমীর কোনো জায়গা নেই৷ সবসময়ে নতুন কিছু ঘটছে৷''

উদ্বোধনের এত বছর পরেও মূল লক্ষ্য আজও প্রাসঙ্গিক রয়েছে৷ বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ এখানে আসেন৷ এলেন ডাল বলেন, ‘‘অবশ্যই আজ অন্য ধরনের প্রতিযোগিতা রয়েছে৷ কারণ সময় ও অর্থ ব্যয় করার কত জায়গা হয়েছে৷ তবে আমরা চিরকাল যা করেছি, টিভোলি সেটাই করে৷''

কোপেনহেগেন শহরের টিভোলি ঐতিহ্যে ভরা এক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, যা অনেক দর্শকের মাথা ঘুরিয়ে দেয়৷

ইয়েন্স ফন লার্শার/এসবি