1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিগ্রের রাজধানী ঘিরে ফেললো সেনা

২৪ নভেম্বর ২০২০

টিগ্রের রাজধানী ঘিরে ফেললো ইথিওপিয়ার সেনা। আত্মসমর্পণের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে বিদ্রোহীদের। 

https://p.dw.com/p/3ljmS
ছবি: Tiksa Negeri/REUTERS

গত তিন সপ্তাহ ধরে ইথিওপিয়ার সেনার সঙ্গে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট(টিপিএলএফ)-এর লড়াই চলছে। টিপিএলএফের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হানার জন্য তৈরি হচ্ছে সেনা। ইথিওপিয়ার সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, টিগ্রের রাজধানীকে ঘিরে ফেলেছে সেনা। প্রধানমন্ত্রী আগেই টিপিএলএফকে লড়াই থামিয়ে সেনার কাছে আত্মসমর্পণের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। সেই অনুরোধ না মানলে যে সেনা রাজধানীতে ঢুকে টিপিএলএফএর বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন সরকারি মুখপাত্র।

১৯৯১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ইথিওপিয়া শাসন করেছে টিপিএলএফ। ২০১৮-তে অ্যাবি আহমেদ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পরিস্থিতি বদলায়। এখন টিপিএলএফের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপক অ্যাবি। টিগ্রের সংঘাত শুরু এই মাস থেকে। টিপিএলেফের অনুগত বাহিনী নর্দান কম্যান্ডকে আক্রমণ করে। বেশ কিছু সেনার মৃত্যু হয়। তারপর থেকে সেনা বনাম টিপিএলএফের লড়াই শুরু হয়েছে।

Äthiopien Tigray Konflikt Flüchtlinge
সুদানে টিগ্রে থেকে যাওয়া উদ্বাস্তুরা।ছবি: Ashraf Shazly/AFP/Getty Images

একই সঙ্গে শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের পালানো। জাতিসংঘের হিসাব, টিগ্রে থেকে ৪০ হাজার মানুষ চলে গিয়েছেন সুদানে। জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা এখন তাঁদের খাবার ও অস্থায়ী মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, উদ্বাস্তু স্রোত বাড়ছে।

টিগ্রের নেতারা অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা সেনার হুমকির কাছে মাথা নত করবেন না। মানুষ টিগ্রের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত। ইথিওপিয়া সরকারের দাবি মেনে আত্মসমর্পণ করা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী অ্যাবে সোমবার বলেছেন, বিরোধ যে জায়গায় গেছে, সেখান থেকে পিছিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই তিনিও তাঁর পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসছেন না।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)