1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিগ্রে: আত্মসমর্পণের সময়সীমা ৭২ ঘণ্টা

২৩ নভেম্বর ২০২০

লড়াই চলছে। তার মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য টিগ্রেকে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা দিলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী। মানতে নারাজ টিগ্রের বিদ্রোহীরা।

https://p.dw.com/p/3lhCo
টিগ্রের কাছে ইথিওপিয়ার সেনা
ছবি: Ethiopian News Agency/AP Photo/picture alliance

ইথিওপিয়ার সেনা বনাম টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট(টিপিএলএফ)-এর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলছে। ইথিওপিয়ার সেনা টিগ্রেররাজধানীর বাইরে। তারা চূড়ান্ত আক্রমণের জন্য প্রস্তুত। এই অবস্থায় নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর হুমকি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টিপিএলএফ আত্মসমর্পণ না করলে সেনা চূড়ান্ত আঘাত করবে। সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, এরপর কামান নিয়ে শহরকে ঘিরে ফেলা হবে।  তিনি টিগ্রের মানুষদের বলেছেন, ''নিজেদের বাঁচান। টিপিএলএফকে সমর্থন করবেন না। শেষবারের মতো এটা বলা হচ্ছে। এর পর আর কোনো ক্ষমা নয়।''

সংবাদসংস্থা এএফপি-কে টিপিএলএফের নেতা বলেছেন, তাঁরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। ইথিওপিয়ার সেনা যত এগোবে, তত বেশি তাদের মূল্য দিতে হবে। ১৯৯১ সালে সামরিক শাসনকে উৎখাত করার পিছনে টিপিএলএফ বড় ভূমিকা নিয়েছিল। তারপর থেকে ইথিওপিয়ায় তারা বড় শক্তি। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সমীকরণ বদলে যায়।

Sudan Hamdayet Transition Center | Flüchtlinge Äthiopien Konflikt Tigray
টিগ্রে থেকে আসা উদ্বাস্তুদের জন্য সুদানে অস্থায়ী ঘর। ছবি: Nariman El-Mofty/AP Photo/picture alliance

অভিযোগ, টিপিএবএফ চলতি মাসের গোড়ায় প্রথমে আক্রমণ করে। তারপর তার জবাব দেয় সেনা। এরপর থেকেই লড়াই তীব্র হয়েছে। সেনা অনেকগুলি শহর অধিকার করে নিয়েছে। বিমান থেকে তারা বোমা ফেলছে। হাজার হাজার মানুষ সুদানে পালিয়ে গেছেন।

অ্যামেরিকার সাবেক জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা সুসান রাইস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি এই ভাবে চলেন, তা হলে তা হবে যুদ্ধকালীন অপরাধের সামিল। জাতিসংঘ ও অ্যামেরিকা মনে করে, ইথিওপিয়ার ঘটনা এক মানবিক সংকট। তাদের ধারণা, আগামী মাসগুলিতে দুই লাখ উদ্বাস্তু সুদানে চলে যেতে পারেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)