1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঝাড়খন্ডে ক্ষমতা হারালো বিজেপি

গৌতম হোড়
২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

মহারাষ্ট্র্রের পর আবার নির্বাচনী ধাক্কা খেলো বিজেপি৷ ঝাড়খন্ডে ক্ষমতা হারাতে হলো মোদী-শাহর দলকে৷ 

https://p.dw.com/p/3VGSt
ছবি: UNI

গত লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খন্ডে ৫৫ শতাংশ ভোট ও একটি বাদে সব আসনে জিতেছিল বিজেপি৷ সাত মাসের মধ্য়ে সেই ঝাড়খণ্ডে বিজেপি শুধু যে ক্ষমতাচ্যূত হল তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস এবং রাজ্য বিজেপি প্রধান ভোটে হারলেন৷ এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ, রামমন্দিরও বিজেপিকে জেতাতে পারল না৷ ভোটের প্রচারে বিজেপি এই তিন বিষয়ের ওপরেই সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছিল৷  জেতাতে পারলেন না নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহও৷ ঝাড়খণ্ডে বেশ কয়েকটি জনসভা করেছিলেন মোদী-শাহ৷ তারপরেও বিজেপির আসন অনেকগুলি কমল, ভোটপ্রাপ্তির হার কমেছে ১৫ শতাংশের মতো৷  বোঝা যাচ্ছে, লোকের ক্ষোভ থাকলে মোদী-শাহর পক্ষেও ভাবমূর্তি ও সংগঠন দিয়ে দলকে জেতানো সম্ভব হচ্ছে না৷ হরিয়ানায় হয়নি, ঝাড়খণ্ডেও হল না৷ হরিয়ানাতে তা সত্ত্বেও জেজেপির সমর্থনে সরকার গঠন করতে পেরেছে বিজেপি৷ ঝাড়খণ্ডে সেই সুযোগটাও ভোটদাতারা তাদের দেয়নি৷ শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকার বানাবার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা পেয়ে গিয়েছে৷ হেমন্ত সোরেন ঝাড়খন্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন৷

প্রশ্ন হল, এনআরসি ও সিএএ নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ কতটা প্রভাব ফেলেছে এই ফলাফলে? বিজেপি এই বিষয়গুলি নিয়ে হিন্দু ভোট টানার ও বিভাজনের যে চেষ্টা করেছিল তাতে কতটা সফল হয়েছে? এটা ঠিক যে, এনআরসি নিয়ে বিতর্ক আগে থেকে ছিল৷ বিরোধীরা দাবি করছে, ঝাড়খণ্ডের ভোটের ফল দেখিয়ে দিয়েছে,এনআরসি ও সিএএ নিয়ে লোকের ক্ষোভ কতটা৷ তবে ঝাড়খণ্ডে বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছিল৷ আদিবাসী রাজ্যে একজন অনাদিবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী করে যে পরীক্ষা নরেন্দ্র মোদী করেছিলেন, তা ব্যর্থ হয়েছে৷ সেই ক্ষোভের আগুনকে আরও উসকে দিয়েছে এনআরসি ও  সিএএ৷

তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তৃতীয় আরেকটি বিষয়, তা হল জোট গঠনে বিজেপির ব্যর্থতা৷ পাঁচ বছর আগে বিজেপি সরকার গঠন করতে পেরেছিল আজসুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে। এ বার আজসু আলাদা লড়েছে, এমনকী রামবিলাস পাসোয়ানের এলজিপি, নীতীশ কুমারের জেডি ইউ-র সঙ্গেও বিজেপির জোট হয়নি। বিজেপি যেখানে একা লড়েছে, সেখানে হেমন্ত সোরেনের জেএমএম, কংগ্রেস, লালু প্রসাদের আরজেডি জোট করে লড়েছে। তার ফল হল, যে আরজেডি সাতমাস আগে বিহারেও একটি আসনও পায়নি, তারা ঝাড়খণ্ডে দুটি আসনে জিতেছে৷

কংগ্রেস আরেকটি রাজ্যে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসছে৷ তবে মহারাষ্ট্রের মতো তারা ঝাড়খণ্ডেও জোটের বড় শরিক নয়, ছোট শরিক৷ সনিয়া গান্ধীর দলের অবস্থাটা এমনই যে তাদের আঞ্চলিক দলের কাঁধে ভর দিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে হচ্ছে৷

তবে এ সবের বাইরে সবথেকে বড় কথা, বিজেপির হাত থেকে আরেকটি রাজ্য হাতছাড়া হল৷ জোটসঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে আরেকটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস৷ ফলে মোদী-শাহর চিন্তা বাড়া স্বাভাবিক৷