1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছে?

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরো বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ কড়া বিধিনিয়ম সত্ত্বেও স্কুল, কিন্ডারগার্টেনের মতো কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের জন্য চাপ বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3p996
ছবি: Sachelle Babbar/Zumapress/picture alliance

করোনা সংকট নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত নভেম্বর মাস থেকে জার্মানিতে লাগাতার লকডাউন চলছে৷ কড়াকড়ি শিথিল করার বদলে বরং আরো জোরালো করা হয়েছে৷ কাগজেকলমে তার সুফলও দেখা যাচ্ছে৷ দৈনিক সংক্রমণের হার একটানা কমে চলেছে৷ এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন হয় পুরোপুরি তুলে নেওয়া অথবা কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের জন্য চাপ বাড়ছে৷ কিন্তু বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ এখনই এমন পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছেন৷ তাঁদের মতে, এত সময় জুড়ে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ কমিয়ে এনে যে সুফল পাওয়া গেছে, যোগাযোগ বাড়লে সেই সাফল্য দ্রুত উধাও হয়ে যেতে পারে৷ বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের নতুন মিউট্যান্ট বা আরও ছোঁয়াচে সংস্করণগুলি দৈনিক সংক্রমণের হার মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে৷ জনসাধারণের সামান্য অংশ এখনো পর্যন্ত করোনার টিকা পাওয়ায় লকডাউন ছাড়া আপাতত কোনো হাতিয়ার নেই বলে তারা মনে করছেন৷

এমন প্রেক্ষাপটে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করবেন৷ বর্তমান লকডাউনের মেয়াদ ১৪ই ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে৷ তার পর কী হবে, তাঁদের সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ সংবাদ মাধ্যমের একাধিক সূত্র অনুযায়ী মঙ্গলবার ম্যার্কেল নিজে কোনো ছাড় ছাড়াই আগামী ১লা মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে জোরালো সওয়াল করছেন৷ তাঁর মতে, দৈনিক সংক্রমণের হার আরো কমিয়ে আনার আগে মানুষের মেলামেশার সুযোগ দিলে বিশেষ করে ব্রিটেন থেকে আসা মিউট্যান্ট আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ বর্তমানে প্রতি ১০ দিনে এই সংস্করণ দ্বিগুণ হয়ে উঠছে৷ সেই হার আরও বাড়লে আবার নতুন করে দীর্ঘ লকডাউনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে৷

একাধিক রাজ্য সরকার লকডাউন সত্ত্বেও ধাপে ধাপে কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইমারি স্কুল খোলার বিভিন্ন প্রস্তাব প্রস্তুত করেছে৷ দোকানবাজার ও সেলুন আবার খোলার জন্যও চাপ বাড়ছে৷ কিন্তু কড়া লকডাউন সত্ত্বেও সেই পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷

লকডাউনের কারণে একদিকে সাধারণ মানুষের হতাশা ও ক্লান্তি এবং অন্যদিকে অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতির বিষয়টিও জার্মানির রাজনীতিকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেলও দেশবাসীর জন্য এমন কঠিন পরিস্থিতি সম্পর্কে দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ বিশেষ করে শিশু-কিশোর ও তাদের পরিবারের জন্য চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন৷ বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী জার্মানির মানুষ সার্বিকভাবে ম্যার্কেলের করোনা মোকাবিলা নীতির প্রতি সমর্থন দেখিয়ে এলেও ধীরে ধীরে ক্লান্তিও বেড়ে চলেছে৷ কড়াকড়ি শিথিল করার শর্তাবলি সম্পর্কে স্পষ্ট নীতিমালার দাবিও দানা বাঁধছে৷ টিকাদান কর্মসূচির ধীর গতি সম্পর্কেও ক্ষোভ বাড়ছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান