1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার নিয়ম না মানার খেসারত!

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

লকডাউন আরো কড়াকড়ি করায় ঘরবন্দি জীবন হয়েছে দীঘার্য়িত৷  অনিশ্চিত এ জীবনে জার্মানদের অনেকে হয়ে উঠছে বেপরোয়া৷ তাদের কেউ পার্টি করে বা অন্যভাবে নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করছে৷

https://p.dw.com/p/3ot0c
Deutschland | Coronavirus | Insel Usedom
ছবি: photo2000/imago images

করোনা যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা ততই বাড়ছে  আর তা প্রায় সব বয়সিদের মধ্যেই৷ কয়েকদিন আগে আমার জার্মান বন্ধু উলা টেলিফোনে তার ১৯ বছর বয়সি মেয়ে লীনার কথা জানালো৷ মেয়ে আর বাড়িতে থাকতে না পেরে তিন বান্ধবীকে গাড়িতে তুলে ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ ম্যাকডোনাল্ডস-এ যায়৷ রেস্তোরাঁ বন্ধ, লীনার প্ল্যান ছিলো গাড়িতে বসে ড্রাইভ থ্রু দিয়ে খাবার নিয়ে আবার বাড়ি ফিরবে৷ কিন্তু বিধি বাম! গাড়ির ভেতরে আড্ডায় মত্ত চার তরুণীর মুখে মাস্ক না থাকায় দিতে হলো জনপ্রতি ৩০০ ইউরো জরিমানা৷ জার্মান পুলিশ বলে কথা, গাড়ির ভেতরেও ঠিকই দেখে ফেলেছে ! ২০ ইউরো বার্গারের দাম দাড়ালো শেষ পর্যন্ত ১২০০ ইউরোতে গিয়ে!

উলার ১৬ বছর বয়সি ছেলে টোবিয়াস ক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছে৷ তিন বন্ধু বাইরে হাঁটার সময় একে অপরের থেকে দূরত্ব দেড় মিটারের কম থাকায় প্রতিজনকে ৫০ ইউরো করে জরিমানা গুনতে হয়েছে৷ উলা বললো,  আমার কপাল!

যাই হোক, আজকাল বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও করোনার নিয়ম-কানুন না মানার খবরাখবর থাকে৷ সেরকমই একটি খবর দেখলাম আজ৷ জার্মানির বাডেম বুর্টেমব্যার্ড রাজ্যের উলম শহরে এক শিশুর মা-বাবা ঘটা করে তাদের সন্তানের জন্মদিন পালন করেছেন এই কড়া লকডাউনের মধ্যে৷ আর যায় কোথায় !  সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১০ জন প্রাপ্তবয়স্কসহ অনেক শিশু৷ প্রাপ্তবয়স্কদের কেউ কেউ পার্টি ছেড়ে যাবে না জানালেও পরে তারা চলে  যেতে বাধ্য হয়৷ লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘন করে গতকাল বড় করে জন্মদিন উদযাপন করায় চারজন প্রাপ্তবয়স্কের বিরুদ্ধে পুলিশ রিপোর্ট করা হয়েছে৷

আসলে এতদিন ঘরে থাকতে থাকতে মানুষ পাগলপ্রায়৷ কি করবে মানুষ, তেমন কিছুই তো করার নেই৷ ধীরে ধীরে অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়েছে৷ এমন এই পরিস্থিতিতে  কারো সাথে দেখা না হলেও টেলিফোনে কিছুটা হলেও  বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করি৷ কথাবার্তায়  প্রায় সবার মধ্যেই কেমন যেন অ্যাগ্রেসিভভাব লক্ষ্য করা যায়৷ আমি নিজেও অবশ্য এর ব্যতিক্রম নই, অল্পতেই রেগে যাই৷

Nurunnahar Sattar, DW-Mitarbeiterin Bengali Programm
নুরুননাহার সাত্তার, ডয়চে ভেলেছবি: DW/A. Islam

মানুষ এখন কতটা আক্রমনাত্মক হয়ে উঠেছে তার আরেক নমুনা জার্মানির এয়ারফুর্ট শহরের এক সুপার মার্কেটের ঘটনা৷  এক লোক মাস্ক ছাড়া এক দোকানে ভেতরে ঢোকায় আরেকজন তার সাথে রীতিমতো ঝগড়া শুরু করে দেয়৷ একটু পরেই সে মাস্কটা পরে নেয় কিন্তু তাতেও মাঝ বয়সি লোকটির রাগ কমেনি৷ দোকান থেকে বের হওয়ার পর মাস্ক না পরা হেটে যাওয়া লোকটির পেছন পেছন গাড়ি নিয়ে যায় এবং গাড়ি দিয়ে তাকে  ধাক্কা দেয়৷ ভাগ্য ভালো গাড়ির আঘাত তেমন লাগেনি তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে৷

এদিকে গতকাল মিষ্টি মেয়ে ফ্রিডিরিকের বয়স ১০ বছর হলো৷ মাত্র একজন বন্ধুকে নিয়ে জন্মদিন করায় মেয়ের খুবই মন খারাপ৷ জীবনের প্রথম "রাউন্ড বার্থ ডে” মেয়েটির কত স্বপ্ন ছিল বড় আয়োজন হবে! ফ্রিডিরিকের মা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বারবারা ম্যুলার বেশ মজা করেই কথাটা জানালেন৷