1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামিন পেলেন না অর্ণব

৬ নভেম্বর ২০২০

অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনও আদালতে খারিজ হয়ে গেল। এখনো জেলে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী।

https://p.dw.com/p/3kw5U
ছবি: Getty Images/AFP/S. Jaiswal

অন্তর্বর্তী জামিনের আদেশও খারিজ হয়ে গেল সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর। বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন অর্ণব। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বিস্তারিত ভাবে মামলাটি শোনা হবে। তার আগে অর্ণবকে জামিন দেয়া সম্ভব নয়।

বুধবার রিপাবলিক টিভির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এডিটর অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। ২০১৮ সালে এক আর্কিটেক্ট এবং তাঁর মায়ের আত্মহত্যার ঘটনায় জড়িত অর্ণবের নাম। ওই আর্কিটেক্ট তাঁর সুইসাইড নোটে অর্ণবকে অভিযুক্ত করে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, কয়েক কোটি টাকা বকেয়া রেখে দিয়েছেন অর্ণব। একাধিকবার চাওয়া সত্ত্বেও অর্ণব সেই অর্থ দেননি। সে কারণেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।

২০১৮ সালে মুম্বই পুলিশ সেই মামলা শুরু করলেও কিছুদিনের মধ্যেই কেস সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের নতুন উদ্ধব ঠাকরে সরকার ফের সেই মামলা খুলেছে। যার জেরে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে অর্ণবকে।

বুধবার গ্রেফতার করে ওই রাতেই অর্ণবকে নিয়ে যাওয়া হয় নিম্ন আদালতে। মধ্য রাত পর্যন্ত আদালত সেই মামলা শোনার পর অর্ণবকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালতেই অর্ণবের আইনজীবী জানিয়ে দেন বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করা হবে। কিন্তু হাইকোর্ট জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দেয়।

মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেইবিতর্কচলছে অর্ণব গোস্বামীর। সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় মহারাষ্ট্র সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন অর্ণব। রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার, বলিউডে ড্রাগযোগ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের সমালোচনা করা হচ্ছিল। কঙ্গনা রানাওয়াত মামলাতেও অর্ণব সমর্থন করছিলেন কঙ্গনাকে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই বক্তব্য, প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রামাণ্য তথ্য নয়, গলার জোরে সাংবাদিকতা করার চেষ্টা করছিলেন অর্ণব। শুধু তাই নয়, কার্যত বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে তিনি রিপাবলিক টিভি চালাচ্ছিলেন। বস্তুত, রিপাবলিক টিভির একটি বড় অর্থ এক বিজেপি নেতার বলেও অভিযোগ।

এই পরিস্থিতিতেই অর্ণবের বিরুদ্ধে থাকা পুরনো মামলার নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। তারই জেরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনো কোনো পক্ষের অভিযোগ, ২০১৮ সালে এই মামলা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করিয়ে দিয়েছিলেন অর্ণব। নতুন জমানায় ফের সেই মামলা শুরু হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)