জাপানের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আবারো আগুন
১৬ মার্চ ২০১১পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
ফুকুশিমার চুল্লি-৪ এ আগুন লেগেছে৷ এর আগে সেখানে চারটি বিস্ফোরণ ঘটে৷ ফলে চারদিকে ব্যাপকহারে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে৷ গত শুক্রবার নয় মাত্রার ভূমিকম্পে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে৷ ফুকুশিমা কেন্দ্রের পরিচালনা সংস্থা টেপকো জানিয়েছে, সর্বশেষ আগুন নেভানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ বুধবার অবশ্য সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেখানকার পারমাণবিক চুল্লির ভেতরকার প্রতিরক্ষা বুহ্য সম্ভবত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তাছাড়া কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেশি হওয়ায় সেখানে কাজ করা সম্ভব নয়৷ এই স্থাপনার আশেপাশের ২০-৩০ কিলোমিটার এলাকার মানুষকে সরে যেতে অথবা বাড়ির মধ্যে থাকতে বলেছে কর্মকর্তারা৷ তাছাড়া ফুকুশিমার ৩০ কিলোমিটার এলাকায় উড়াল নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷
ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা
শুক্রবারের ভূমিকম্প এবং পরবর্তীতে সুনামিতে এখন পর্যন্ত নিহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা ৩,৩০০৷ তবে এখনো কয়েক হাজার মানুষ নিঁখোজ রয়েছে৷ এরই মাঝে মঙ্গলবার ৬ দশমিক দুই মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দেয় টোকিও'র দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল৷ ভূমিকম্পে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ এখন গৃহহীন৷ এছাড়া জাপানের উত্তরাঞ্চলের সাড়ে আট লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই৷ সেখানকার আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা৷ ভূমিকম্প দুর্গত এলাকায় পানির সংকট তীব্র বলে স্বীকার করেছে, খোদ সরকার৷ সবমিলিয়ে চরম দুর্দশায় দিনযাপন করেছে দুর্গতরা৷
‘বাংলাদেশ দূতাবাস বন্ধ’
টোকিও'র বাংলাদেশ দূতাবাস আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার, জাপানে অবস্থানরত ১২ হাজার বাংলাদেশিকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে৷ ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়৷ তবে তেজস্ক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি৷ বিডিনিউজ আরো জানিয়েছে, হিরোশিমা ও নাগাসাকি কিংবা এর পাশের দক্ষিণাঞ্চলীয় কোনো শহরে বাংলাদেশের নতুন দূতাবাস স্থাপন করা হতে পারে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা