1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাঁদাবাজি সমস্যা

২০ জুলাই ২০১২

রোজার সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন মহাসড়কে চাঁদাবাজি আরো বেড়ে যাবে, মনে করেন সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন৷ সম্প্রতি মহাসড়কে পুলিশের ‘চাঁদাবাজি' নিয়ে নাদিয়া শারমিন'এর একটি টেলিভিশন প্রতিবেদন আলোড়ন তুলেছে৷

https://p.dw.com/p/15axt
ছবি: DW

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা আসছে আম বোঝাই একটি ট্রাক৷ এই ট্রাকের পিছু নেন অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন৷ এরপর তাঁর ক্যামেরায় ধরা পড়ে মহাসড়কে পুলিশ এবং শ্রমিক নেতাদের জোর করে অর্থ আদায়ের বিভিন্ন দৃশ্য৷ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাক থামিয়ে অর্থ আদায় যেন এক স্বাভাবিক ঘটনা৷ কিন্তু ক্যামেরা দেখে ভরকে যায় অনেক পুলিশ সদস্য৷ শুরু হয় তাদের দৌড়াদৌড়ি৷ একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত এই প্রতিবেদনটি ব্যাপক আলোড়ন তোলে বাংলাদেশে৷

Nadia Sharmeen Jorunalistin Bangladesch
সাংবাদিক নাদিয়া শারমিনছবি: privat

নাদিয়া শারমিন মনে করেন, মহাসড়কে এই চাঁদাবাজির প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের উপর৷ কেননা, চাঁদা দেওয়ায় পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যায় এবং ব্যবসায়ীরা সেই খরচ তোলেন তাদের ক্রেতাদের কাছ থেকে৷ তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে ট্রাক ভাড়া বিভিন্ন কারণে এমনিতেই বেশি৷ তারমধ্যে মহাসড়কে বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক থেকে অর্থ আদায় করা হচ্ছে৷ টাকার অঙ্কে একেকবার হয়ত খুব বেশি টাকা নেওয়া হয় না, দু'শো বা চারশো টাকা নেওয়া হয়৷ কিন্তু এতবার এভাবে টাকা আদায় করা হয় যে সামগ্রিকভাবে অঙ্কটি বড় হয়ে যায়৷ এই টাকাটি পরিবহন খরচের সঙ্গে যোগ হয় এবং শেষ পর্যন্ত তা বহন করতে হয় সাধারণ ক্রেতাকে৷''

রোজার সময় পুলিশ এবং শ্রমিক নেতারা পণ্যবাহী ট্রাক থেকে আরো বেশি টাকা আদায় করবে, মনে করেন নাদিয়া শারমিন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রতি বছর যেটা খেয়াল করি যে, রমজানকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি বেড়ে যায়৷ যেহেতু ঈদ করার জন্য পুলিশের চাহিদা একটু বেড়ে যায়, তাই এই সময়ে চাঁদাবাজিও বেড়ে যায়৷ এবং চাঁদাবাজি তারা খুব ‘ডেসপারেটলি' করে৷''

বলা বাহুল্য, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতনের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে গেছে৷ ঢাকা এবং যশোরে একাধিক সাংবাদিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে গত কয়েকমাসে৷ এরকম একটি পরিস্থিতিতে সাংবাদিকতা বাংলাদেশে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ? এই প্রশ্নের জবাবে শারমিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতা এখন অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ৷ কারণ এখন সবাই জানে যে, সাংবাদিককে মারা যায় এবং মারার পরেও নিরাপদে থাকা যায়, বিচার হয় না৷ এই বিচার হয় না অবস্থাটা যতদিন পর্যন্ত চলতে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত একজন সাংবাদিক কোনো অবস্থাতেই নিরাপদ নয়৷''

সাক্ষাৎকার: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান