1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সড়ক দুর্ঘটনা

১৫ মে ২০১২

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে চললেও তার কোন প্রতিকার নেই৷ যান নিয়ন্ত্রণে নিয়ম নীতির বালাই তো নেই-ই, এমনকি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও কানে তোলে না কর্তৃপক্ষ৷ এছাড়া দুর্ঘটনাগুলো নিয়ে উপযুক্ত ডাটাবেজ না থাকায় এ নিয়ে গবেষণাও সীমিত৷

https://p.dw.com/p/14vc1
ছবি: DW/Arafatul Islam

বাংলাদেশে দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট৷ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই প্রতিষ্ঠানটি দুর্ঘটনার কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে গবেষণা করে৷ পাশাপাশি এই ব্যাপারে সরকারকে নানা সময় পরামর্শও দিয়ে থাকে৷ সড়ক পথে দুর্ঘটনা কেন ঘটে থাকে, জিজ্ঞেস করলে ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এস এম সোহেল মাহমুদ জানান, হাইওয়ের বাঁকগুলোতে গাছ লাগানো থাকায় সেসব গাছের জন্য সড়কে দৃষ্টিপথের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়৷ ফলে গাড়ির চালক বাঁক নেওয়ার সময় সামনে দেখতে পারে না৷

সড়কের বাঁকে দৃষ্টিপথের প্রতিবন্ধকতার কারণে অনেক সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি দেখতে পেলেও অনেক দেরি হয়ে যায়৷ এই প্রসঙ্গে বছর খানেক আগে চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদের দুর্ঘটনার উদাহরণ দিয়ে গবেষক সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘‘ওই দুর্ঘটনায় তদন্ত করে আমরা দেখেছি অন্যতম কারণ ছিলো ড্রাইভারের ‘ভিশন অবস্ট্রাকশন'৷ গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত শতকরা ৬০ ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে বাস ও ট্রাকের কারণে৷ একে তো অদক্ষ ড্রাইভার, তার ওপর বাংলাদেশে যেভাবে ট্র্যাকগুলো তৈরি করা হয় তাতে ভীষণ ত্রুটি থাকে৷ গাড়ির বডিগুলোতে অনেক কিছু এমনভাবে লাগানো হয় যেগুলো অনুমোদিত নয়৷

Bangladesh riskante Überholmanöver Überholen Straße Riskant
ছবি: DW/Arafatul Islam

বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট গত বেশ কয়েক বছর ধরে সড়ক, নৌ ও রেল দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করে আসছে৷ যেসব এলাকা দুর্ঘটনা প্রবণ সেগুলোকে তারা চিহ্নিত করে থাকে৷ গত বছর মোট ২০৯টি এলাকা দুর্ঘটনা প্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ তবে এই গবেষণার ক্ষেত্রে বাধা হচ্ছে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব৷ সড়ক ও রেল দুর্ঘটনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য থাকলেও নৌপথের দুর্ঘটনাগুলো নিয়ে তেমন কোন তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায় না৷ এই ব্যাপারে সোহেল মাহমুদ বলেন, নৌপথের দুর্ঘটনার খবরগুলো আমরা পত্রিকা থেকে নিয়ে আমাদের নিজেদের পদ্ধতিতে ডাটাবেজ তৈরি করি৷ এরপর সেগুলো নিয়ে কাজ করি৷

গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে যারা গাড়ি চালান তাদের শতকরা ৬০ ভাগই কোন না কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন৷ খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ-র তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ গাড়ি চালকের লাইসেন্সই ভুয়া৷ একদিকে ভুয়া লাইসেন্সের ছড়াছড়ি, অন্যদিকে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি৷ অন্যদিকে নৌপথেও একই অবস্থা৷ মেয়াদোত্তীর্ণ লঞ্চ স্টিমার ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন৷ সবমিলিয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যাচ্ছে এই দুর্ঘটনায়৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য