1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রেফতার বাইপাস কাণ্ডের অভিযুক্ত

৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাইপাসে এক তরুণীকে হেনস্থার অভিযোগে অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। তবে তরুণীর কথায় কিছু অসঙ্গতি মিলেছে।

https://p.dw.com/p/3iBv7
ছবি: DW/P.M. Tewari

অবশেষে গ্রেফতার কলকাতার বাইপাস কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডে। দমদমের একটি গেস্ট হাউস থেকে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তবে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশের এত সময় লাগল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দিন কয়েক আগে রাতের দিকে কলকাতার পূর্ব প্রান্তের বাইপাসে যৌন হেনস্থার একটি ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, বাইপাসের উপর একটি গাড়ির ভিতর থেকে তীব্র আর্তনাদ শুনতে পান আরেকটি গাড়িতে থাকা এক দম্পতি। গাড়িটির কাছে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, এক তরুণী গাড়ির ভিতর থেকে আর্তনাদ করছেন। অভিযুক্ত গাড়িকে নিজেদের গাড়ি দিয়ে আটকে দ্রুত রাস্তায় নেমে পড়েন ওই দম্পতি। উদ্ধার করেন আক্রান্ত তরুণীকে। তারই মধ্যে অভিযুক্ত ছেলেটি পালিয়ে যায়। পালানোর সময় তার গাড়ির নীচে পা পড়ে যায় উদ্ধারকারী নারী নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের। পায়ের হাড় কয়েক টুকরো হয়ে যায়। ততক্ষণে পুলিশে খবর দিয়েছেন নীলাঞ্জনার স্বামী। পুলিশ এসে দুই নারীকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। অভিযুক্তের সন্ধানও শুরু হয়। আক্রান্ত তরুণী জানান, ওই ব্যক্তি গাড়ির ভিতর তাঁকে মারছিল এবং যৌন হেনস্থা করছিল।

ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় কলকাতায়। সিসিটিভিতে গাড়ির নম্বর দেখে পুলিশ কেন ওই অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করছে না, সেই প্রশ্ন ওঠে। জানা গিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত নিজের নামেই দক্ষিণ কলকাতায় একটি হোটেলে ছিল ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার সে চলে যায় দমদমের একটি গেস্ট হাউসে। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডেকে গ্রেফতারের পর বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তরুণীর সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। তাদের বিয়ে করার কথা ছিল। পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তির ভুল নাম বলেছিল আক্রান্ত তরুণী। তবে গাড়িতে যে তরুণীকে মারধর করা হয়েছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত পুলিশ। গাড়ির দরজা এবং সিটে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। গাড়ির ভিতর ধস্তাধস্তির চিহ্নও মিলেছে।

প্রশ্ন হলো, কেন পুলিশের কাছে অভিযুক্তের ভুল পরিচয় দিয়েছিলেন ওই তরুণী? ভয়ে? তবে নিজের বিষয়ে কোনো ভুল তথ্য দেননি তিনি। তিনি জলপাইগুড়ির মেয়ে। কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় উচ্চপদস্থ কর্মচারী। অভিষেক এর আগে বিয়ে করেছিল। কিন্তু তা বেশিদিন টেকেনি। সে সময়েও তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারার অভিযোগ উঠেছিল।

যে নারী ওই দিন আক্রান্ত তরুণীকে উদ্ধার করেছিলেন কলকাতা পুলিশের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দম্পতিকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। জানানো হয়েছে, ওই নারীর চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

এসজি/জিএইচ (আনন্দবাজার পত্রিকা)