1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাঝরাতে কলকাতায় তরুণীকে বাঁচালেন এক নারী

৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

কলকাতার বাইপাস। এক তরুণীর আর্তনাদ শুনে গাড়ি থামিয়ে তাঁকে বাঁচালেন আরেক নারী। তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিল দুষ্কৃতী।

https://p.dw.com/p/3i6Mj
ছবি: DW/S. Bandopadhyay

তিনি 'বাঁচাও, বাঁচাও' চিৎকার শুনে উপেক্ষা করেননি। নিজের বিপদের কথা ভাবেননি। করোনাকালের কথাও মনে রাখেননি। তিনি তাঁর স্বামীকে পিছনের গাড়িটা আটকে দিয়ে নিজেদের গাড়ি থামাতে বলেন। সোজা চলে যান পিছনের গাড়িতে। এই অসম সাহসী নারীর নাম নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর এই সাহসের জন্যই বেঁচে গেলেন এক তরুণী। যিনি চরম যৌন নিগ্রহ থেকে বেঁচে যান। ঘটনাটি ঘটেছে রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ।

কিন্তু তার জন্য রীতিমতো মূল্য দিতে হয়েছে নীলাঞ্জনাকে। দুষ্কৃতী মরিয়া হয়ে পালাবার সময় নীলাঞ্জনার পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন। তাঁর স্বামী দীপ শতপথি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, সোমবার তাঁর অপারেশন হবে। তাঁর পায়ের হাড় কয়েক টুকরো হয়ে গেছে। যাঁকে তিনি উদ্ধার করতে পেরেছেন, সেই তরুণীও হাসপাতালে ভর্তি।

ঘটনাটা ঘটেছে কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসে। নীলাঞ্জনা, তাঁর স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে রাতে ফিরছিলেন। মায়ের জন্মদিন ছিল। তাই ফিরতে একটু দেরি হয়। তাঁরা যখন গাড়িতে আসছিলেন, তখন বাইপাসে আনন্দপুর এলাকায় পিছনের গাড়ি থেকে আর্তনাদ শুনতে পান নীলাঞ্জনা। তিনি স্বামীকে বলেন, পিছনের গাড়িটাকে আটকে নিজেদের গাড়ি থামাতে। দীপ সেটাই করেন। নীলাঞ্জনা সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে পিছনের গাড়ির দিকে যান।

তখনই দরজা খুলে তরুণীকে রাস্তায় ফেলে দেয় দুষ্কৃতী। তাঁর পোশাক ছেঁড়া ছিল। মুখে মারধরের চিহ্ন ছিল। নীলাঞ্জনা তরুণীকে তুলতে যান। ততক্ষণে দীপ গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত পিছনের গাড়ির দিকে যান। সে সময় গাড়ির চালক প্রথমে জোরে ব্যাক করে গাড়ি চালিয়ে দেয়। যাওয়ার সময় তা নীলাঞ্জনার পায়ের ওপর দিয়ে যায়। তাঁর পায়ের হাড় কয়েক টুকরো হয়ে গেছে। আর একটু হলেই তাঁর মাথার ওপর দিয়ে গাড়ি চলে যেত।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর বাড়ি জলপাইগুড়ি। সে পাঁচদিন আগে আলাপ হওয়া একটি ছেলের সঙ্গে বেরিয়েছিল। কিছুক্ষণ ঘোরার পর সে ছেলেটিকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলে। কিন্তু ছেলেটি তা না করে তাঁকে নিয়ে ঘুরতে থাকে এবং শ্লীলতাহানি করতে চায় এবং চলন্ত গাড়িতেই যৌন নিগ্রহ করে। যুবকটির নাম পুলিশের কাছে জানিয়েছেন মেয়েটি।

ঘটনার পর দীপ প্রথমে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু পাননি। তারপর পুলিশে যোগযোগ করলে দ্রুত একজন সার্জেন্ট সেখানে পৌঁছন। পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে। দীপ জানিয়েছেন, তিনি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। তাঁরা জানিয়েছে, দুইটি ঘটনার একসঙ্গে তদন্ত হচ্ছে। তাই আলাদা অভিযোগের দরকার নেই।

জিএইচ/এসজি(আবাপ)