খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি ইস্যুতে সংসদে তুফান
৪ ডিসেম্বর ২০১২দীর্ঘ টালবাহানার পর আজ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় শুরু হলো ভোটাভুটির সংস্থানসহ খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা৷ আলোচনার সূত্রপাত করে বিরোধী বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, এফডিআই নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত একতরফা এবং দেশের স্বার্থবিরোধী৷ বিপক্ষ দলের সঙ্গে কোনো রকম পরামর্শ করা হয়নি৷ যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ঐকমত্য না হওয়া অবধি এই সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে৷
খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নিতে দেশে ৪০ লাখ লোকের কাজ হবে, সরকারের এই দাবি নস্যাৎ করে বিরোধী নেত্রী বলেন, এতে একচেটিয়া ব্যবসা তৈরি হবে৷ বহুজাতিক সংস্থাগিলি কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য করবে৷ বিশ্বে বড় বড় সুপার মার্কেটগুলি তাই করছে৷ প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায় গ্রাহকদের লাভ, একচেটিয়াতে নয়৷ চীনের পণ্যে ভারতের বাজার ভরে যাবে৷ রোজগার বাড়বে চীনের আর ভারতের ১২ কোটি ঘরে নেমে আসবে অন্ধকার৷
বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ, যেখানে যেখানে মাল্টি-ব্র্যান্ড এফডিআই এসেছে, সেখানে সেখানে ছোট ব্যবসায়ীদের পাততাড়ি গোটাতে হয়েছে৷ এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৌগত রায়ের অভিযোগ যে সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে৷
আগামীকাল প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি৷ তার প্রেক্ষিতে সরকারের সংখ্যাগত অবস্থানটা কী? লোকসভায় সরকার ‘পাস মার্ক' পেলেও উচ্চকক্ষ রাজ্যসভাতে পাশ করতে পারবে কিনা – তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে৷ লোকসভায় ৫৪৩টি ভোটের মধ্যে কংগ্রেস-জোট সরকারের পক্ষে ২৪৮ জন সাংসদ৷ দরকার কমপক্ষে ২৭২টি ভোট৷ বাইরে থেকে সমর্থনকারী এসপি বিএসপি যদি সরকারের পক্ষে ভোট দেয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই৷
মুলায়েমের এসপি দল এখনো তার অবস্থান খোলসা করেনি৷ তবে মায়াবতির বিএসপি নীতিগতভাবে এর বিরোধী হলেও শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষে ভোট দিতে পারে, বিজেপিকে হারাতে৷ আর মুলায়েম ও মায়াবতি ভোটদানে অনুপস্থিত থাকলেও সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে অসুবিধা হবে না৷ মুশকিল হবে রাজ্যসভাতে৷