1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতীয় সংসদ

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৯ নভেম্বর ২০১২

খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি ইস্যুতে ভোটাভুটিসহ আলোচনার দাবি শেষ পর্যন্ত সরকার মেনে নেয়ায় চারদিন ধরে চলা সংসদের অচলাবস্থা কাটলো৷ এ নিয়ে আবারো আলোচনা হবে ৪ঠা ও ৫ই ডিসেম্বর৷

https://p.dw.com/p/16sYv
ছবি: AP

চারদিন পর সংসদের অচলাবস্থা কাটলো৷ খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ ইস্যুতে ভোটাভুটিসহ বিরোধীপক্ষের আলোচনার দাবি সরকার শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছে নিজেদের দূর্গ মজবুত করার পর৷ আজ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় একথা ঘোষণা করেন স্পিকার মীরা কুমার৷ বলেন, ‘‘১৮৪ ধারা অনুসারে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে ভোটাভুটিসহ আলোচনার জন্য ৩০টি নোটিশ পেয়েছি৷ তা নিয়ে আলোচনার অনুমতি দিয়েছি৷ আলোচনা হবে ৪ঠা ও ৫ই ডিসেম্বর৷'' এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিজেপি ও সিপিআই-এম৷

সংসদে শক্তি পরীক্ষার জন্য সরকার ও বিরোধীপক্ষ একে অপরকে ঘেরার জন্য ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে৷ দেখা যাক, রাজনৈতিক দলগুলি কে কোথায় দাঁড়িয়ে? নিম্নকক্ষ লোকসভায় সংখ্যা নিয়ে সরকারের মাথা ব্যথা নেই৷ শরিক দল ডিএমকে সরকারের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে৷ আগে ডিএমকে বেঁকে বসেছিল৷ জেতার জন্য ম্যাজিক সংখ্যা হলো ২৭৩৷ মোট ৫৪৩ জন সাংসদের মধ্যে কংগ্রেস-জোটের রয়েছে ২৬৫৷ বাইরে থেকে সমর্থন রয়েছে এসপি ও বিএসপি দলের, যাদের মোট সংখ্যা ৪১৷

তবু সরকারের আশঙ্কা কাটছে না৷ কারণ, এই দুটি দলের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়ে গেছে৷ দুটি দলই অবস্থান খোলসা করেনি৷ বিএসপি'র মায়াবতি বলেছেন, দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত সভার ভেতরেই স্থির করবেন তিনি৷ একই কথা এসপির মুলায়েম সিং-এর মুখে৷

লোকসভায় বেরিয়ে গেলেও আসল সমস্যা উচ্চকক্ষে, অর্থাৎ রাজ্যসভাতে৷ সরকারের এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই৷

সংসদে ভোটাভুটি হলে জেতার সম্ভাবনা কম, সেটা জানে বিজেপি৷ তবু কেন বিজেপি তার সিদ্ধান্তে অবিচল রইলো? এক, এফডিআই নিয়ে বিরোধীতায় নেমে এখন সরকারকে সমর্থনের কথা যারা বলছে, তাদের মুখোশ খুলে দেয়া৷দুই, যে দলগুলি এখন অবস্থান বদল করছে, তাদের সিবিআই-এর ভয় দেখিয়ে সরকার কীভাবে বাগে আনলো তা প্রচার করা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য