1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেরালার স্কুলে ১৯২ জন করোনায় আক্রান্ত

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

স্কুল খুলতেই বিপত্তি। কেরালায় পাশাপাশি দুইটি স্কুলে একসঙ্গে ১৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

https://p.dw.com/p/3p99n
কেরালার স্কুল
প্রতীকী ছবিছবি: Reuters/J. Dey

করোনাকালে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ভারতের অধিকাংশ স্কুল-কলেজ। করোনার প্রকোপ সামান্য কমতে, ধীরে ধীরে বিভিন্ন রাজ্যে স্কুল খুলতে শুরু করেছে। আর তারপরেই ঘটল বিপত্তি। কেরালায় পাশাপাশি দুইটি স্কুলে ১৯২ জন ছাত্র এবং শিক্ষকের কোভিড ধরা পড়েছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এর মধ্যে ৯১ জন ছাত্র একটি কোচিংয়ে পড়তে যেত। ফলে তাদের মাধ্যমে ওই কোচিংয়ে আরো ছাত্রের মধ্যে কোভিড ছড়িয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাময়িক ভাবে ওই স্কুল দুইটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই স্কুল খুলেছে। কেরালার মালাপ্পুরাম জেলার পাশাপাশি দুইটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা যেতে শুরু করেছিল। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই সেখানে ক্লাস শুরু হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে প্রথমে একটি স্কুলে দশম শ্রেণির এক ছাত্র এবং অন্য স্কুলে এক শিক্ষকের কোভিড ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন দুইটি স্কুলের প্রায় সমস্ত ছাত্র এবং শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করে। দেখা যায়, ১৯২ জনের শরীরে করোনার ভাইরাস আছে। তবে তারা সকলেই অ্যাসিম্পটোম্যাটিক।

এই তথ্য সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল দুইটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আক্রান্ত ছাত্র এবং শিক্ষকদের পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদেরও করোনার পরীক্ষা হয়। কেরালার প্রশাসনের দাবি, এখনো পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি ব্যক্তির টেস্ট করানো হয়েছে। অনেককেই আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।

তবে চিন্তার বিষয় হলো, আক্রান্ত ছাত্রদের ৯১ জন একটি কোচিংয়ে পড়তে যায়। তা হলে কি সেই কোচিং থেকেই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে? এই প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ওই কোচিংয়ের আরো বহু ছাত্রের করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। আপাতত কোচিংটিও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

ওড়িশাতেও গত মাসে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। স্কুল খোলার পর ৩১ জন ছাত্র ও শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হন। এখন শুধু দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হচ্ছে। তাতেই একাধিক রাজ্য থেকে ছাত্র ও শিক্ষকদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে।

ভারতের অন্য রাজ্যগুলিতে করোনার প্রকোপ খানিকটা কমলেও কেরালায় এখনো সংক্রমণ যথেষ্টই। তারই মধ্যে সেখানে যুক্তরাজ্য থেকে আসা এক ব্যক্তির শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেইন মিলেছে। ফলে দুশ্চিন্তা আরো বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আদৌ কেন স্কুলগুলি খোলার অনুমতি দিল সরকার, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

চিকিৎসকদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, ভারতে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গেছে। সে কারণেই ছাত্রদের মধ্যে করোনার কোনো লক্ষ্যণ দেখা যায়নি।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)