করোনার সিলভার বুলেট মিলবে না, জানাল ডাব্লিউএইচও
৪ আগস্ট ২০২০করোনার আতঙ্কে মানুষ ঘরবন্দি। গত কয়েক মাসে গোটা বিশ্বের চেহারা বদলে গিয়েছে। লকডাউন, কোয়ারান্টিন, আইসোলেশন চালু করেও করোনাকে আটকানো যায়নি। বিশ্বজুড়ে করোনার প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চলছে পুরদমে। মাস কয়েকের মধ্যে তা বাজারে আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই অবস্থায় আরেকটি উদ্বেগজনক কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের মতে, করোনার সিলভার বুলেট কোনোদিনই হয়তো পাওয়া সম্ভব হবে না। ফলে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না করোনাকে। এখন থেকে করোনা নিয়েই ঘর করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, ''একাধিক ভ্যাকসিনেরএখন তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল পরীক্ষা হচ্ছে।কার্যকরি ভ্যাকসিন বের হলে সাময়িক স্বস্তি মিলবে। কিন্তু এই মুহূর্তে কোনো সিলভার বুলেট নেই। সম্ভবত ভবিষ্যতেও তা পাওয়া যাবে না।'' অর্থাৎ, ভ্যাকসিন করোনাকে সম্পূর্ণ নির্মূল করে দেবে, এমনটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
ডু ইট অল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, প্রতিটি দেশ যে করোনা আটকাতে মাস্ক পরতে বলছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলছে, বারবার হাত ধোয়া সহ স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে বলছে, পরীক্ষা করতে বলছে, তার কী হবে? হু প্রধানের জবাব হলো, ''ডু ইট অল। এ সবই করুন। মাস্ক এখন সারা বিশ্বের লোকের ঐক্যের প্রতীকও হয়ে দাঁড়িয়েছে।''
মাতৃদুগ্ধ নিয়ে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, করোনাকালে মাতৃদুগ্ধ নিয়ে সমস্যা নেই। করোনায় আক্রান্ত মায়েরাও বাচ্চাদের মাতৃদুগ্ধ খাওয়াতে পারেন। তাতে অসুবিধা হবে না। ফলে এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। তিনি বলেছেন, সদ্যোজাতরা মায়ের দুধ পেলে করোনা সহ অন্য অনেক অসুখের হাত থেকে বাঁচতে পারবে।
উহান
করোনার উৎপত্তি হয়েছিল চীনের উহানে। সেখনে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা প্রাথমিক অনুসন্ধানের কাজ শেষ করেছে। এখন সেখানে ডাব্লিউইচও-র দ্বিতীয় দল গিয়ে কাজ করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং চীনা বিশেষজ্ঞরা পরবর্তী অনুসন্ধানের কাজ কীভাবে করা হবে তার রূপরেখা তৈরি করছেন।
চীনা আধিকারিকদের দাবি, উহানের স্থানীয় বাজার থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছিল। এই বাজারে বিভিন্ন পশু-পাখির মাংস বিক্রি হয়। কিন্তু তারা এর অতিরিক্ত তথ্য দেয়নি। অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য অভিযোগ করেছেন, করোনা ছড়িয়েছে চীনের গবেষণাগার থেকে। তার প্রমাণও তাঁর কাছে আছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স