1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিবে জার্মানি

১৩ এপ্রিল ২০২০

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব নিয়ে করোনা সংকটে জরুরি স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্ব দেয়ার অঙ্গীকার করেছে জার্মানি৷ জুলাইয়ে এ দায়িত্ব পাবে দেশটি৷

https://p.dw.com/p/3apH9
ছবি: picture-alliance/dpa/B. von Jutrczenka

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান৷ জুলাই এর প্ইলথম দিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব নেয়ার পর করোনা সংকট সমাধানে ইইউ এর দেশগুলোকে সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি৷ 

বর্তমানে এই দায়িত্বে আছে ক্রোয়েশিয়া৷ প্রতি ছয় মাসে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে থেকে একজনকে ওই অঞ্চলের তৎকালীন সমস্যা সমাধানে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়৷

হাইকো মাস জানান, ‘‘দায়িত্ব নেয়ার পর জার্মানির অন্যতম কাজ হবে, সমন্বিত পদ্ধতিতে অভ্যন্তরীণ বাজারের উপর থেকে এবং ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে শিথিল করা৷’’ এখনো পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘একে অপরের উপর দোষ না চাপিয়ে এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে সংহতি প্রদর্শন করতে হবে৷’’ এই যুদ্ধে কে কার চেয়ে শ্রেষ্ঠ সেই লড়াইয়ে না গিয়ে বরং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানান তিনি৷ এই সংকট থেকে যদি ইইউ নেতারা শিক্ষা নেন, তাহলে এই জোট আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী ও একতাবদ্ধ হবে বলে আশা করেন তিনি৷

ভবিষ্যত পদক্ষেপ

জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা উপকরণের উৎপাদন, জনসাধারণের চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন সাধনে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷  রাজনৈতিক ক্ষমতার বলে যারা করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ মানছেন না তাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের লঙ্ঘন করছেন৷ এই সমালোচনা যে হাঙ্গেরির উদ্দেশে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷

করোনা সংকটে জনগণ ও ব্যবসায়ীদের সমর্থনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫০০ বিলিয়ন ইউরোর ত্রাণ প্যাকেজ সম্পর্কে তিনি বলেন,'' জার্মানির অর্থনীতির জন্য এটা জরুরি৷’’

ইইউ এর আগামী সাত বছরের বাজেটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের গবেষণা, জলবায়ু রক্ষা, প্রযুক্তি এবং সংকট মুহূর্তে স্বাস্থ্য সেবা এবং সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়নে এই ব্যয় করা হবে৷’’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিল খুব কম উল্লেখ করে এই সংস্থা এবং জাতিসংঘকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ বিশেষ করে করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন, পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে মাস বলেন, এই  মহামারী ঠেকাতে এটাই সবচেয়ে বড় উদ্যোগ হবে৷

এপিবি/কেএম (এপি, এএফপি, রয়টার্স)