1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলের সঙ্গে এ বার কূটনৈতিক সম্পর্ক মরক্কোর

১১ ডিসেম্বর ২০২০

আমিরাত, বাহরাইনের পর এ বার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করছে মরক্কো। দুই দেশের মধ্যে বিমানও চলবে।

https://p.dw.com/p/3mYQe
মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। ছবি: Moroccan Royal Palace/AP Photo/picture alliance

প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর একেবারে শেষ সময়ে এসে আরেকটি সাফল্য পেলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। অ্যামেরিকার মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং মরক্কোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হচ্ছে। মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ জানিয়েছেন, তাঁরা অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করবেন। সরকারিভাবে যোগাযোগও শুরু হবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেছেন, এটা ঐতিহাসিক ঘটনা। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু হয়েছে। এ বার মরক্কোর সঙ্গে হচ্ছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, ''আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি, এই ঐতিহাসিক দিন আসবে।''

নেতানিয়াহু ও ষষ্ঠ মোহাম্মদ দুজনেই সরাসরি বিমান পরিষেবা শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

ফিলিস্তিনের নিন্দা

ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আরব দুনিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়াটা অসম্ভব বলেই এতদিন মনে করা হতো। কিন্তু এখন আরব দেশগুলির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক শুরু হচ্ছে। তবে ফিলিস্তিনি নেতারা এটা মানতে পারছেন না। ইসরায়েল ও মরক্কোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালুর সিদ্ধান্তের তাঁরা নিন্দা করেছেন। ফিলিস্তিন লিবারেশন আর্মির নেতা বাসাম আস-সালহি বলেছেন, এটা স্বাগতযোগ্য পদক্ষেপ নয়। রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছেন, ২০০২ সালের আরব শান্তি চুক্তিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিন ও আরবের মাটিতে তাঁদের অধিকার না ছাড়ে, তা হলে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হবে না। ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের অধিকার দিচ্ছে না। তাই কোনো আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণাকে স্বাগত জানানো যেতে পারে না।

গাজা ভূখণ্ডে হামাসও জানিয়েছে, এটা পাপ। এর ফলে ফিলিস্তিনিদের কোনো সাহায্য হবে না। ইসরায়েল তাদের অধিকার ছাড়ছে না। তারা বরং আরও ভূখণ্ড অধিকার করে আগ্রাসী মনোভাব দেখাবে।

ট্রাম্পের ঘোষণা

ইসরায়েল ও মরক্কোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার কথা প্রথম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। মরক্কোর রাজার সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর ট্রাম্প টুইট করে বলেন, ''আরেকটা ঐতিহাসিক ঘটনা। আমাদের দুই বন্ধু ইসরায়েল ও মরক্কো কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মধ্য প্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে খুবই বড় ঘটনা।''

তবে ট্রাম্প এখন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে কিছুটা দ্বিধার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের আমলে নেয়া পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন করবেন। তা হলে এই সব চুক্তি নিয়ে তাঁর মনোভাব কী হবে? ডেমোক্র্যাটরা জানাচ্ছেন, ট্রাম্পের উদ্যোগে আরব দেশগুলি ও ইসরায়েলের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে ও হচ্ছে, তা তিনি মেনে চলবেন।

ট্রাম্প পরে আরেকটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ''মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ১৭৭৭ সালে স্বীকৃতি দিয়েছিল মরক্কো। তাই আমাদেরও পশ্চিম সাহারার সার্বভৌমত্ব স্বীকার করার সময় এসেছে।'' পশ্চিম সাহারা আগে ছিল স্পেনের অধিকারে। এখন তা মূলত মরক্কোর নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু আলজেরিয়ার সাহায্যপ্রাপ্ত স্বাধীনতা আন্দোলনকারীরা পশ্চিম সাহারাকে তাঁদের দেশ বলে দাবি করে। ট্রাম্প এখন সেখানে মরক্কোর অধিকার স্বীকার করে নেয়ার পক্ষে।

জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, রয়টার্স)