1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলের কড়া সমালোচনায় সৌদি আরব

৭ ডিসেম্বর ২০২০

বাহারাইন শীর্ষ বৈঠকে ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করলেন সৌদি আরবের যুবরাজ। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই।

https://p.dw.com/p/3mJ8S
সৌদি যুবরাজ তুর্কি বিন ফয়সল আল সৌদ।ছবি: picture-alliance/dpa

বাহারাইন সিকিউরিটি সামিটে গিয়ে ইসরায়েলেরসমালোচনায় মুখর হলেন সৌদি যুবরাজ তুর্কি বিন ফয়সল আল সৌদ। একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি বলেছেন, ''যতক্ষণ স্বাধীন ফিলিস্তিন না হচ্ছে, ততক্ষণ ইসরায়েল যেন আরব দুনিয়ার আর কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন না করে।'' তিনি যখন এই কথা বলছেন, তখন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সেখানে ছিলেন। সম্প্রতি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য বাহারাইন ও আমিরাতের প্রতিনিধিদের ইসরায়েল তাঁদের দেশে ধুমধাম করে স্বাগত জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সৌদির এই আক্রমণের মুখে পড়ে কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়েন ইসরায়েলের পররষ্ট্রমন্ত্রী।

এই শীর্ষ বৈঠকের নাম দেয়া হয়েছে মানামা ডায়লগ। সেখানেই সৌদির যুবরাজ বলেন, ''ইসরায়েল নিজেকে শান্তির দূত হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের বাস্তব ছবিটা হলো, তারা একটি পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অধীনে আছে। ইসরায়েল তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণ দেখিয়ে ফিলিস্তিনিদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে অত্যাচার করছে। ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ কেউই ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। ইসরায়েল ইচ্ছেমতো ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ধ্বংস করছে, যাকে খুশি মেরে ফেলেছে।''

সৌদি যুবরাজের ভাষা ছিল অত্যন্ত কঠোর। তিনি সোজাসাপটা অভিযোগ করেন, ''ইসরায়েলের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে। আর তারা ও তাদের পেটোয়া মিডিয়া সমানে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে রক্তপিপাসু হত্যাকারী আছে, যারা সৌদির অস্তিত্বকেই মুছে ফেলতে চায়। তারপরেও ইসরায়েল প্রচার করে যে, তারা সৌদির বন্ধু হতে চায়।'' তাঁর মতে, ''সমস্যার সমাধান একমাত্র তখনই হতে পারে, যখন ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে অধিকৃত ভূখণ্ড ফিলিস্তিনকে ফিরিয়ে দেয় এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনকে মেনে নেয়। তা হলে আরব দেশগুলির সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব হতে পারে।''

এরপরেই বলতে উঠে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি প্রতিনিধির মন্তব্যে তিনি ক্ষুব্ধ। মধ্য প্রাচ্যে পরিবর্তন আসছে। সৌদির প্রতিনিধির কথায় তার ছাপ নেই। তাঁর মতে, শান্তিচুক্তি না হওয়ার জন্য ফিলিস্তিন দায়ী। বিকল্প দুইটি। ফিলিস্তিনকে সমস্যার সমাধান মেনে নিতে হবে, না হলে এ রকম দোষারোপ চালিয়ে যেতে হবে।

যখন এই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলছে, তখন বাহারাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মঞ্চে ছিলেন। তিনি অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ''শান্তির পথ সহজ নয়। অনেক বাধা আসে। অনেক উপর-নীচ হয়। কিন্তু শান্তির পথে থেকেই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সমস্যার সমাধান করতে হবে।''

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)