1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্দোনেশিয়ার কারাগারে ‘বিলাসী' জীবন

২৮ জুলাই ২০১৮

ইন্দোনেশিয়ার বেশিরভাগ কারাগারের অবস্থাই শোচনীয় এবং জনাকীর্ণ৷ কিন্তু এবার জানা গেল টাকা দিলে কারাগারে মিলছে বিলাসী জীবনযাপনের ব্যবস্থা৷ আর এমন অবৈধ সুযোগ দেয়ার দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন কারাগারের কর্মকর্তারাও৷

https://p.dw.com/p/32Aiz
Indonesien Sukamiskin-Gefängnis
ছবি: Agus D. Prasetyo/Jawa Pos

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, টেলিভিশন, বড় ফ্রিজ, নিজস্ব বাথরুম, শুনে কারাগার তো নয়ই, মনে হতে পারে হোটেলের বর্ণনা৷

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার সুকামিসকিন কারাগারে পাওয়া গেছে এমন ‘হোটেল'৷ কারাগারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পয়সাওয়ালা এবং প্রভাবশালী বন্দিদের বিলাসবহুল দ্রব্য সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে৷ বিশেষ এই সুবিধা দিতে বন্দিদের কাছ থেকে ১৯ থেকে ৩৫ হাজার ডলার ঘুস নেয়ারও প্রমাণ মিলেছে৷

এমনকি, এসব বন্দিদের কিছু ক্ষেত্রে কারাগারের চাবিও সরবরাহ করা হয়, যাতে তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো আসাযাওয়া করতে পারেন৷

দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থা ‘ইন্দোনেশিয়ান করাপশন ইরাডিকেশন কমিশন' (কেপিকে) ২২ জুলাই অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন বন্দি ও কারাগার কর্মকর্তাকে আটক করেছে৷

কেপিকে মুখপাত্র ফেবরি দিয়ানশা বলছেন, তাঁরা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক ওয়াহিদ হুসেনকে ঘুষ দেয়া-নেয়ায় ব্যবহৃত অর্থ ও কিছু যানবাহন জব্দ করেছেন৷ কেপিকের হাতে আটকদের মধ্যে আছেন হুসেনও৷

তিনি জানান, ‘‘কেপিকের তদন্তকারীরা প্রায় ২০ হাজার ডলার সমমূল্যের নগদ ইন্দোনেশিয়ান রুপাইয়া, কেনাকাটার কাগজ, গাড়ির রসিদ এবং দুটি গাড়িও জব্দ করেছেন৷''

অভিযানে কিছু কক্ষ খুলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তদন্তকারীদের, কারণ সে কক্ষগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল বন্দিদের হাতেই৷

সুকামিসকিন একটি বিশেষ কারাগার, যেখানে মূলত দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীদের রাখা হয়৷

বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

শুধু বিলাসী কক্ষই নয়, সুকামিসকিন কারাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কিছু বন্দিকে বিশেষ সুযোগ দেয়ার অভিযোগও আছে৷

গত বছর ইন্দোনেশিয়ার টেম্পো ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, ঐ কারাগারের কিছু বন্দিকে পাহারা ছাড়াই বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হতো৷ এমনকি সুকামিসকিন কারাগার কর্তৃপক্ষের সম্মতিপত্র নিয়ে কোনো কোনো বন্দি শুধু আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখাই না, শপিংও করতে যেতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

২০১০ সালে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক কর কর্মকর্তা গায়ুস তাম্বুনানকে বালির এক রিসোর্ট দ্বীপে আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্টে খেলা দেখতে দেখা যায়৷

আয়ু পূর্বানিংসিহ/এডিকে

প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো বন্ধু? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান