1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপ ফের করোনার কেন্দ্র হতে পারে

৫ নভেম্বর ২০২১

ইউরোপে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ এসে পড়েছে বলে সতর্ক করল ডাব্লিউএইচও। ফেব্রুয়ারির মধ্যে মৃত্যুর আশঙ্কা ৫ লাখ মানুষের।

https://p.dw.com/p/42bri
কোভিড
ছবি: Silke Reents/ZB/picture-alliance

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা। ইউরোপ ফের কোভিডের এপিসেন্টার বা কেন্দ্র হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) ইউরোপের প্রধান হ্যানস ক্লুগে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, ইউরোপের দেশগুলি কোভিডের সঙ্গে লড়াই করার জন্য মাঝে অনেকগুলি দিন সময় পেয়েছিল। কিন্তু তারা সেই সুযোগ নষ্ট করেছে। যেভাবে টিকাকরণ করা উচিত ছিল, তা তারা করতে পারেনি।

ডেটা বলছে, এখনো পর্যন্ত স্পেনে সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ করা হয়েছে। ৮০ শতাংশ মানুষ দুইটি টিকার ডোজ পেয়ে গেছে। কিন্তু জার্মানি এবং ফ্রান্সে সংখ্যাটি অনেক কম। জার্মানিতে দুইটি ডোজ পেয়েছেন ৬৬ শতাংশ মানুষ। ফ্রান্সে ৬৮ শতাংশ মানুষ। ডাব্লিউএইচও-র মতে গত কয়েকমাসে টিকা দেওয়ার গতি মন্থর হওয়াতেই নতুন করে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে ইউরোপে।

রাশিয়ায় টিকাদানের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। মাত্র ৩২ শতাংশ মানুষ সেখানে দুইটি টিকা পেয়েছেন। ডাব্লিউএইচও-র বক্তব্য, একদিকে টিকাকরণের গতি মন্থর, অন্যদিকে দেশগুলি জীবনযাপন কার্যত স্বাভাবিক করে দিয়েছে। দুইয়ের ফল চতুর্থ ঢেউ। মোট ৫৩টি দেশ নিয়ে ডাব্লিউএইচও-র ইউরোপীয় জোন। এর মধ্যে কয়েকটি মধ্য এশিয়ার দেশও আছে। সেখানেও পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে জানানো হয়েছে। ডাব্লিউএইচও-র আশঙ্কা, পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

জার্মানিতে গত কয়েকদিনে কোভিড সংক্রমণ চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার মানুষ। যুক্তরাজ্যে সংখ্যাটি ৩৭ হাজার। গত কিছুদিনে রাশিয়ায় আট হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনে মারা গেছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। ইউক্রেনে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ হাজার ৩৭৭ জন।

ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে গোটা ইউরোপেই সংক্রমণের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। গত কয়েক সপ্তাহে সব মিলিয়ে ৫৫ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের লকডাউন হতে পারে বলেও মনে করছেন কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ। ডাব্লিউএইচও অবশ্য টিকাকরণে আরো গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)