1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর পথ প্রশস্ত করলেন পুটিন

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

সোমবার ইউক্রেনের দুই বিচ্ছিন্ন অংশের স্বীকৃতি ও সেখানে ‘শান্তিরক্ষী বাহিনী’ পাঠানোর ঘোষণা করে রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন সংঘাতের পথ বেছে নিলেন৷ সেই সিদ্ধান্তের জোরালো নিন্দার পর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি চলছে৷

https://p.dw.com/p/47OUg
ছবি: Alexey Nikolsky/Kremlin/SPUTNIK/REUTERS

যাবতীয় কূটনৈতিক চাপ ও জোরালো নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন শেষ পর্যন্ত সংঘাতের পথই বেছে নিলেন৷ সোমবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে এক দীর্ঘ ভাষণে নিজস্ব যুক্তি ও আবেগ তুলে ধরে তিনি প্রথমে ইউক্রেনের পূর্বে ডনবাস অঞ্চলের দুই স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্রকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবার ঘোষণা করেন৷ তারপর সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পুটিন ডিক্রি জারি করেন৷ শেষে লুহানস্ক ও দনেৎস্ক ‘প্রজাতন্ত্রের’ ডাকে সেখানে রুশ ‘শান্তিরক্ষী’ বাহিনী পাঠানোর ঘোষণাও করেন তিনি৷ ভাষণের আগে পুটিন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁকে টেলিফোনে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান৷

এভাবে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ডে রাশিয়া একতরফাভাবে সৈন্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় উত্তেজনা আরো বেড়ে গেল৷ রুশ বাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পর্যন্ত অগ্রসর হবে, নাকি লুহানস্ক ও দনেৎস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন-নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডেও পা রাখার চেষ্টা করবে, তাও এখনো স্পষ্ট নয়৷ দনেৎস্ক শহরে ইতোমধ্যেই রুশ সামরিক সরঞ্জাম প্রবেশ করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করছেন৷

Karte - Konflikt in der Ostukraine - EN

বলা বাহুল্য, রুশ প্রেসিডেন্টের এমন চরম সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তিনি সহযোগী দেশগুলির কাছ থেকে স্পষ্ট ও কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছেন৷ লুহানস্ক ও দনেৎস্কের স্বীকৃতির মাধ্যমে মস্কো ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত মিনস্ক প্রোটোকল থেকে একতরফাভাবে সরে গেল বলেও তিনি মনে করছেন৷ জেলেনস্কি আরো বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার প্ররোচনার প্রতিক্রিয়া না দেখালেও নিজস্ব ভূখণ্ড ছেড়ে দেবে না৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলে ইউক্রেনের প্রতি সংহতি দেখিয়েছেন৷

এমন পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সংলাপ চালানোর সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড ‘শান্তিরক্ষী বাহিনী’ হিসেবে ইউক্রেনে রুশ সৈন্য পাঠানোর যুক্তি নাকচ করে দিয়ে বলেন, সে দেশের বাকি অংশেও হামলা চালানোর অজুহাত সৃষ্টি করছে মস্কো৷ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন দুই অঞ্চলের স্বীকৃতির মাধ্যমে রাশিয়া জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করেছে৷ অ্যামেরিকা, ইউরোপ তথা পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার উপর ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে৷

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কোনো দেশে রাশিয়ার উদ্যোগে এমন ভাঙনের প্রচেষ্টা প্রথম নয়৷ ২০০৮ সালে সে দেশ জর্জিয়ার দক্ষিণ ওসেটিয়া ও আবখাজিয়া অঞ্চলকেও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে একতরফা স্বীকৃতি দিয়েছিল৷ সেখানেও রুশ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছিল৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)