1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন সংকট: ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তা

৩০ জানুয়ারি ২০২২

ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও ন্যাটোর দ্বন্দ্ব যত ঘনীভূত হচ্ছে তত উদ্বেগ বাড়ছে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ নিয়েও৷ ইউরোপের জ্বালানি নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধানও৷

https://p.dw.com/p/46Hwd
ইউরোপের গ্যাসের চাহিদার ৩৫ শতাংশ বা এক তৃতীয়াংশ মিটিয়ে থাকে রাশিয়াছবি: Stefan Sauer/dpa/picture alliance

ইউরোপ প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ করে রাশিয়ার কাছ থেকে আমদানি করে৷ মূলত, দুইটি পাইপলাইনের মাধ্যমে এই গ্যাস সরবরাহ করে রাশিয়া৷ ইয়ামাল-ইউরোপ লাইনটি বেলারুশ, পোল্যান্ড হয়ে পৌঁছে গেছে জার্মানিতে৷ নর্ড স্ট্রিম ওয়ান বাল্টিক সাগর হয়ে সরাসরি এসেছে জার্মানিতে৷ গত কয়েক বছর ধরে জোটের বিভিন্ন দেশ তাদের গ্যাসের উৎস বহুমুখী করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে৷ তবে এখনও রাশিয়ার উপর নির্ভরশীলতা পুরোপুরি হ্রাস করা যায়নি৷ বর্তমানে ইউরোপের গ্যাসের চাহিদার ৩৫ শতাংশ বা এক তৃতীয়াংশ মিটিয়ে থাকে রাশিয়া৷

এমন অবস্থায় ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বন্দ্বে জ্বালানি সংকটে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে ইইউ৷ বিষয়টিকে খাটো করে দেখছেন না ন্যাটো প্রধানও৷ সামরিক এই জোটের মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘‘আমরা ইউরোপের জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ কেননা একটি দেশের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরতা ঝুঁকিপূর্ণ৷ যে কারণে আমরা ন্যাটো মিত্ররা সরবরাহ বহুমুখী করার বিষয়ে কাজ করতে ও মনযোগী হতে একমত হয়েছি৷''

এরইমধ্যে রাশিয়া থেকে সরবরাহ করা গ্যাসের বিকল্প হিসাবে কাতার থেকে গ্যাস আনা যায় কিনা, সে ব্যাপারে দেশটির সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷

এই উদ্বেগ নতুন করে তৈরি হয়েছে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশ ঘটানোর খবরে৷ ওয়াশিংটন দাবি করে আসছে দেশটিতে হামলা চালাতে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জাম জড়ো করেছে রাশিয়া৷ তবে এমন আশঙ্কা সত্য নয় বলে বারবারই উল্লেখ করে আসছে মস্কো৷

নর্ড স্ট্রেম টু সহসাই চালু হচ্ছে না

গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে জার্মানি-রাশিয়ার মধ্যে নর্ড স্টি্রম টু পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ এর মধ্য দিয়ে বাল্টিক হয়ে সরাসরি রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে৷ তবে এখনও এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর চূড়ান্ত অনুমোদন মিলেনি৷ তবে এর কার্যক্রম পরিচালনা ও অনুমোদন নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা৷

এই আইনি প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে জার্মানিতে একটি সংস্থাকে নিয়োগ দিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম৷ তবে সংস্থাটির প্রধান ইয়খেন হোমান স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এফএজেডকে জানিয়েছে, আপাতত সামনের পদক্ষেপগুলো বন্ধ আছে৷

বিষয়টি বছরের প্রথমার্ধের মধ্যে সমাধা হওয়ার আশা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ এমন ইউক্রেনে কোন সংকট তৈরি হলে বিকল্প পথে ইউরোপে জ্বালানি আসার বিষয়টিও অনিশ্চিতায় পড়বে৷

জবাব চায় রাশিয়া

গত বছরের ডিসেম্বরে ন্যাটো দেশগুলোর কাছে কিছু দাবি তুলে ধরে রাশিয়া৷ ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদ দেয়া হবে না, যুক্তরাষ্ট্রসহ জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে এমন নিশ্চয়তা চায় তারা৷ যা এরইমধ্যে নাকচ করে দিয়ে বাইডেন প্রশাসন৷

রোববার রুশ পররাষ্টমন্ত্রী সের্গেই লেভরভ ন্যাটোর কাছে এই বিষয়ে নতুন করে জবাব চাইবেন বলে জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘যদি তারা এটা (দাবি পূরণ) করতে না চায় তাহলে তাদের উচিত কেন সেটাও ব্যাখ্যা করা৷ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রস্তাবের মূল নির্ধারিত হবে এই প্রশ্নের ভিত্তিতে৷’’

তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে তারা রাশিয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় রয়েছে৷ পূর্ব ইউরোপ থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহার করার কোন সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে৷

যুক্তরাজ্যের অবরোধ পরিকল্পনা

এদিকে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক অবরোধের পরিকল্পনা করছে ব্রিটেন৷ প্রেসিডেন্ট পুটিনকে রুখতে এই সপ্তাহের মধ্যেই সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে তারা৷ রোববার বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস বলেছেন, পুটিন যে ইউক্রেন হামলা করতে চায় এমন সম্ভাবনা তারা প্রবল বলেই মনে করেন৷ কূটনীতিসহ বাধা প্রদানের সব উপায় নিয়েই তাই বসছেন তারা৷ অন্যদিকে স্কাই নিউজকে তিনি জানিয়েছেন, অবরোধ এতটাই বিস্তৃত হবে যে রাশিয়ার কেউ এর থেকে বাদ যাবে এমনটা ভাবার কারণ নেই৷

উল্লেখ্য আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ট্রুস ইউক্রেন ও রাশিয়া সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে৷

এফএস/এডিকে (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান