1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বাইডেনের ফোন

২৮ জানুয়ারি ২০২২

ফোনে জেলেনস্কির সঙ্গে দীর্ঘ কথা বাইডেনের। পাশে থাকার আশ্বাস। রাশিয়া জানিয়েছে, অ্যামেরিকা তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ দেখায়নি।

https://p.dw.com/p/46D0E
ইউক্রেন
ছবি: Mykola Myakshykov/Avalon|Photoshot/picture alliance

২০১৪ সালের চুক্তি মেনে রাশিয়া এবং ইউক্রেন সাময়িক যুদ্ধবিরতির কথা বলেছে। কিন্তু তা কতদিন স্থায়ী থাকবে, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা একই রকম। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে দীর্ঘ সময় কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ইউক্রেনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন।

বৈঠকের পর একটি টুইট করেছেন জেলেনস্কি। সেখানে তিনি লিখেছেন, উত্তেজনা কমানোর জন্য কী কী কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যৌথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও হয়েছে। বাইডেনকে ধন্যবাদ ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য করার জন্য। প্রয়োজনে আর্থিক সাহায্যের কথাও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন।

রাশিয়ার অবস্থান

বৃহস্পতিবার অ্যামেরিকা এবং ন্যাটোর যৌথ চিঠির কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন, চিঠিতে রাশিয়ার চিন্তার বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বস্তুত, চিঠিকে কার্যত একতরফা বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। রাশিয়া জানিয়েছে, আলোচনায় তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তাদের সমস্যার বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। অ্যামেরিকা বা ন্যাটো এখনো পর্যন্ত তাতে আগ্রহ দেখায়নি। এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা কমার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে না রাশিয়া।

অ্যামেরিকার অবস্থান

অ্যামেরিকা সমস্যাটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় তুলতে চাইছে। দ্রুত এ বিষয়ে জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নিক, এটাই দাবি অ্যামেরিকার। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তেজনা কমার কোনো রুপোলি রেখা এখনো তারা দেখতে পাচ্ছেন না। তবে আলোচনার একটি রাস্তা খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোন কলে কী কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি মার্কিন মুখপাত্র। তবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইউক্রেন সমস্যাকে সামনে রেখে ন্যাটোকে নিয়ে অ্যামেরিকা একটি পশ্চিমি ফ্রন্ট তৈরি করতে চাইছে। রাশিয়া আক্রমণ করলে যাতে তার জবাব দেওয়া যায়, সেটাই হবে ফ্রন্টের লক্ষ্য।

রাশিয়া জানিয়েছে, অ্যামেরিকা এবং ন্যাটো যেভাবে পূর্ব ইউরোপে সেনা সাজাচ্ছে, তা রাশিয়ার কাছে বড় থ্রেট। পরিস্থিতির উপর তারা নজর রাখছে। তবে তারা ধীরে চলো নীতি নিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)