1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইরাক

আলোচনা নয়, নির্বাচনের পক্ষে আল-সদর

৪ আগস্ট ২০২২

ইরানপন্থি দলের সঙ্গে আলোচনায় রাজি নন মোকতাদা আল-সদর। তিনি চান, ইরাকে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচন হোক।

https://p.dw.com/p/4F5xa
ইরাকে শিয়া ধর্মীয় নেতা আল-সদরের অনুগামী ও ভক্তের সংখ্যা প্রচুর।
ইরাকে শিয়া ধর্মীয় নেতা আল-সদরের অনুগামী ও ভক্তের সংখ্যা প্রচুর। ছবি: Nabil al-Jurani/AP/picture alliance

ইরাকের ক্ষমতাশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল-সদর তার মত স্পষ্ট করে দিলেন। তিনি নির্বাচন চান। গত সপ্তাহান্ত থেকে আল-সদরের হাজার হাজার সমর্থক ইরাকের পার্লামেন্ট-ভবন দখল করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তারা ইরানপন্থি দলগুলিকে বাদ দিয়ে পরবর্তী সরকার গঠনের দাবি করেছে।

বুধবার মধ্য ইরাকের পবিত্র শহর নজফ থেকে আল-সদর জানিয়েছেন, পার্লামেন্ট-ভবনে বিক্ষোভ চলতে থাকবে। তার দাবি আবার নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

কেন এই অচলাবস্থা?

ইরাকের সংবিধান অনুসারে, পার্লামেন্টে ভোটাভুটি করতে হবে। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যদি পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পক্ষে মত দেয়, তখনই তা ভেঙে দিয়ে আবার নির্বাচন করা যায়। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট একমত হলে বা এক তৃতীয়াংশ সদস্য চাইলে এই ভোটাভুটি হতে পারে।

ইরানপন্থিরা সাবেক মন্ত্রী আল-সুদানিকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত করায় আল-সদরের সমর্থকেরা রেগে গেছেন। গত অক্টোবরে নির্বাচনের পর আল-সদরের দল সবচেয়ে বড় দল হলেও সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

কিন্তু অচলাবস্থা কাটানোর জন্য আল-সদরের ৭৩ জন পার্লামেন্ট সদস্য ইস্তফা দেন। এর ফলে ইরানপন্থিরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়।

আল-সদর বলেছেন, তিনি নিশ্চিত যে, ইরাকের মানুষ বর্তমান শাসকদের পুরোপুরি খারিজ করবে। তারা তার আন্দোলনে যোগ দেবে।

আলোচনা নয়

আল সদর জানিয়েছেন, তিনি আলোচনা চান না। কারণ, অতীতে এই আলোচনা থেকে কিছুই বেরিয়ে আসেনি।

জাতিসংঘ অবশ্য ইরাকের নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ করেছে, তারা যেন বিরোধ ভুলে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করেন। জাতিসংঘের মতে, ইরাকি দলগুলির আলোচনায় বসা দরকার।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, এপি)