সৌদির পর ইরানে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী
২৭ জুন ২০২২ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টিভি জানিয়েছে, ইরানের প্রধানমন্ত্রী রাইসির সঙ্গে আল-কাধিমির বৈঠক হয়েছে। তারপর যৌথ সাংবাদিক সম্মলেন করেছেন তারা। রাইসি বলেছেন, ''আমরা এই অঞ্চলে স্থিতাবস্থা ও শান্তি বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।''
ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর সফরের উদ্দেশ্য হলো, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে আবার যাতে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তার চেষ্টা করা। তবে দুই নেতা এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কিছু বলেননি।
রাইসি বলেছেন, আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান করার জন্য আঞ্চলিক পর্যায়ে কর্মকর্তারা আলোচনা করতেই পারেন। তবে তিনি এই মন্তব্যের কোনো ব্যাখ্যা দেননি।
ইরানের মতো ইরাকও শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। তবে সৌদি আরব সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ। ইরাক অবশ্য সৌদির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে। আল-কাধিমির ইরানে আসার একদিন আগে সৌদি আরবেও গেছিলেন। সেখানে যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে এখন পশ্চিমা দেশগুলিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছে। ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল গত শুক্রবার চেহরান গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে জানান, ইরানের সঙ্গে পরমাণু-প্রকল্প সংক্রান্ত আলোচনা আগামী দিনে আবার শুরু হবে।
আর কিছুদিনের মধ্যেই রিয়াধ আসছেন মার্কিন প্রেসিডজেন্ট জো বাইডেন। তিনি সৌদির যুবরাজের সঙ্গেও দেখা করবেন।
২০১৬ থেকে
ইরাক ও সৌদির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ২০১৬ থেকে বন্ধ। ইয়েমেনে তারা দুই বিরোধী শিবিরকে সমর্থন করছে। সৌদি সেখানে বহিষ্কৃত সরকারকে সমর্থন করে, আর ইরান হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন করে। তবে ইয়েমেনে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির ফলে সেখানে পরিস্থিতির বদল হয়েছে।
গত বছর বাগদাদে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনাও করেছেন।
জিএইচ/এসজি (এপি, রয়টার্স)