1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার ক্ষমতায় ফিরছেন নেতানিয়াহু?

৩ মার্চ ২০২০

ইসরায়েলের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে তৃতীয় নির্বাচনেও সম্ভবত স্পষ্ট ফলাফল দেখা যাচ্ছে না৷ তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জয়ের দাবি করছেন৷ দুর্নীতির মামলার ঠিক আগে তিনি কিছুটা বিপাকে পড়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3YmZL
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Schalit

মাত্র এগারো মাসের মধ্যে তিন-তিনটি সাধারণ নির্বাচন! স্পষ্ট ফলাফলের অভাবে ইসরায়েলের ভোটারদের এমন দশায় পড়তে হয়েছে৷ প্রতিবারই কোনোক্রমে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ সোমবারের নির্বাচনের ফলাফল এখনো প্রকাশিত না হলেও এবারও তিনি জয়ের দাবি করছেন৷ একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী তাঁর জোট অবশ্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি৷ নেতানিয়াহুর প্রধান প্রতিপক্ষ মধ্যপন্থি ‘নীল ও সাদা' দলের বেনি গানৎস-ও যথেষ্ট আসনে জিতলে পারেননি বলে সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে৷ তিনি অবশ্য এখনো পরাজয় মানতে প্রস্তুত নন৷ ফলে এবারও স্থায়ী সরকার গঠনের পথে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার নেতানিয়াহু কীভাবে বার বার যথেষ্ট সংখ্যক ভোটারের মন জয় করতে পারছেন, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনার শেষ নেই৷ এবারের নির্বাচনের আগে লিকুদ দলের ৭০ বছর বয়সি এই নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার একটি অংশ কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জর্ডান উপত্যকার ইহুদি বসতিগুলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের অন্তর্গত করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি৷ মোট কথা, ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রশ্নে নেতানিয়াহু নিজেকে সবচেয়ে যোগ্য নেতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷

সরকারি ফলাফল ঘোষণার পরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে নেতানিয়াহু অন্যান্য ছোট দলের সমর্থনের ভিত্তিতে সরকার গঠন করার চেষ্টা চালাবেন, এমনটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ কোনোক্রমে সরকার গঠনে সফল হলেও দুর্নীতির দায়ে তাঁর পক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন হতে পারে৷ আগামী ১৯শে মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম মামলা শুরু হচ্ছে৷ নেতানিয়াহু অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন৷ বিরোধীদের আশঙ্কা, নতুন করে সরকার গঠন করতে পারলে নেতানিয়াহু আইন প্রণয়ন করে কোনো ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর বিচার অসম্ভব করে তুলতে পারেন৷

এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি রাজনীতির মেরুকরণ আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে৷ বিশেষ করে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ইসরায়েলি আরবরা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠায় নেতানিয়াহু-বিরোধী শিবিরের মনে কিছুটা আশা জন্মেছে৷ অন্যদিকে চরম দক্ষিণপন্থি শক্তি নেতানিয়াহুকে ঘিরে আরও সংঘবদ্ধ হতে পারে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)