1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক বছরে তৃতীয় ভোট ইসরায়েলে

১২ ডিসেম্বর ২০১৯

দীর্ঘ আলোচনার পরেও জোট হল না৷ তাই এক বছরের মধ্যে ইসরায়েল তৃতীয়বার ভোটে যাচ্ছে৷ পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ২ মার্চ আবার নির্বাচন৷

https://p.dw.com/p/3UfNe
ছবি: Getty Images/AFP/G. Tibbon

জোট গঠন নিয়ে অচলাবস্থা কাটল না৷ তাই আবার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিল ইসরায়েলের পার্লামেন্ট৷ ফলে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি দেখা দিল৷ এক বছরের মধ্যে তৃতীয়বার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ইসরায়েলের ভোটদাতারা। আগামী ২ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে৷

গত নির্বাচনে কোনও একটি দল সরকার বানাবার মতো গরিষ্ঠতা পায়নি৷ সরকার বানানোর জন্য তাই ভোট পরবর্তী জোট দরকার ছিল৷ দীর্ঘ আলোচনার পরেও সেই জোট তৈরি হয়নি। দলগুলো এখন একে অপরকে দোষারোপ করছে। এর প্রতিক্রিয়া ভোটদাতাদের ওপর পড়তে পারে এবং তাঁদের মনে অবিশ্বাস তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷

চলতি বছরে এপ্রিল ও সেপ্টেম্বরে নির্বাচন হয়৷  সেখানে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দক্ষিণপন্থী লিকুদ ৩১ ও বেনি গান্টস এর ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি ৩২ আসনে জেতে৷ এরপর নেতানিয়াহু ও গ্রান্টস সরকার গঠন করা নিয়ে আলোচনা করেন৷ কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি৷ নেতানিয়াহু ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ''আমাদের ওপর জোর করে নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হল।'' তিনি সরাসরি এর জন্য গ্রান্টসকে দায়ী করেছেন।

গ্রান্টস পাল্টা বলেছেন, ''নেতানিয়াহু দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো বিপাকে৷ সেটাই সরকার না হওয়ার মূল কারণ৷ নেতানিয়াহু দুর্নীতির অভিযোগের হাত থেকে বাঁচতে চাইছিলেন। আমরা তার বিরোধিতা করছিলাম। তাই এক বছরের মধ্যে তৃতীয় বার নির্বাচন হবে৷''  

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি চাইতে পারেন নেতানিয়াহু৷ সেই পরিস্থিতিতে সত্তর বছরের এই রাজনীতিককে পার্লামেন্ট রেহাই দেবে কি না, তা জানার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে৷

জিএইচ/এসজি(এএফপি, ডিপিএ,এপি)