1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার অগ্নুৎপাত ইন্দোনেশিয়ায়

৩০ নভেম্বর ২০২০

ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি ইলি লিউওটোলোকে অগ্নুৎপাত। কয়েক হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হলো।

https://p.dw.com/p/3lzf3
ছবি: Aken Udjan/Antara Foto/REUTERS

কয়েক মাসের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় তৃতীয় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত শুরু হলো। এ বার লাভা ও ছাই বেরোচ্ছে ইলি লিউওটোলোক আগ্নেয়গিরি থেকে। রোববার প্রায় চার কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ছাই। ধোঁয়ায় ভরে যায় পুরো এলাকা। এই আগ্নেয়গিরির ঢালে থাকা ২৮টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে ১৭ বছর বয়সী মুহাম্মদ লিহান জানিয়েছেন, তিনি এই অগ্নুৎপাত শুরু হতে দেখেন। তারপর স্থানীয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু অনেকের অন্যত্র চলে যাওয়ার মতো অর্থ অনেকের কাছেই ছিল না। স্বস্তির বিষয় হলো, অগ্নুৎপাতের ফলে কেউ মারা যাননি বা আহত হননি।

ঘটনার পরেই স্থানীয় বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখনো অগ্নুৎপাত হচ্ছে। এই অঞ্চলে বিমান চলাচলের উপরেও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, সকলে যেন মাস্ক পরেন এবং চোখ ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করেন। তাছাড়া শরীরের খোলা অংশে ছাই পড়লে সেখানেও অসুবিধা হতে পারে। চার কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বসবাসকারী মানুষকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, লাভা স্রোত ও ছাই ওই পর্যন্ত যেতে পারে। বিষাক্ত গ্যাসও আসতে পারে।

মাউন্ট ইলি লিউওটোলোকের উচ্চতা পাঁচ হাজার ৪২৩ ফুট। গত কয়েক মাসের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় আগ্নেয়গিরি থেকে লাভাস্রোত বের হলো ইন্দোনেশিয়ায়। এর আগে জাভা ও সুমাত্রায় দুইটি আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ১৭ হাজার দ্বীপে ৪০০ আগ্নেয়গিরি আছে। বলা হয় রিং অফ ফায়ারের উপর রয়েছে এই দ্বীপপুঞ্জ।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফই, রয়টার্স)