গান গেয়ে মন মাতালো যে
১২ এপ্রিল ২০১৭জেফ বাকলে-র লেখা কথায় লিওনার্ড কোহেনের গাওয়া গানটি পপ সংগীতের ইতিহাসে এক চিরকালের সংযোজন৷ কিন্তু গান মানে হলো আবেগ, অনুভূতি, ইমোশান৷ সেই ইমোশান যদি কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারে, স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘ইটি' ছবির এলিয়টের মতো, তাহলে ইটি-র হৃৎপিণ্ড যেন আবার আলো হয়ে জ্বলতে থাকে, টবের মরা ক্রিসানথিমাম ফুল যেন আবার মাথা তোলে৷
ভিডিওর মেয়েটিকে জানি না, চিনি না৷ বয়স কত হবে? নয়? দশ? মার্কিনি তো বটেই, নয়ত এরকম নিখুঁত হ্যালেুলইয়া গাইবে কী করে! তবে যেন একটু জাপানি বা কোরীয় কিংবা চীনা সংমিশ্রণ আছে, অ্যামেরিকায় যা আদৌ আশ্চর্য নয়৷মেয়েটি আর তার সঙ্গের মানুষজন যেন ইটালিতে কোথাও বেড়াতে গেছে; কোন এক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে একটি কুয়োর ওপর ঝুঁকে দেখছে, কুয়োর অতলে কি আছে – না, পড়ে যাবার ভয় নেই, কেননা কুয়োর মুখ লোহার জাল দিয়ে ঢাকা৷
মেয়েটি গাইতে শুরু করল – আর যেন কুয়োর ভিতরে দূর অতীতের কারা সব নড়ে-চড়ে বসল, মেয়েটির গানের বা টানের ছত্রগুলির শেষে তাদের দীর্ঘনিশ্বাস যেন প্রতিধ্বনি হয়ে ঐ নওলকিশোরীর আবেগ-অনুভূতিকে লম্বিত করল, প্রলম্বিত করল৷ যেন সুদূর অতীতের সঙ্গে মোবাইল হাতে হাসিখুশি বর্তমানের মোলাকাত হল ঐ লোহার জালের ভিতর দিয়ে৷ কেউ কারো মুখ দেখতে পেল না, কিন্তু কণ্ঠ আর উপকণ্ঠ, ভাষ আর প্রতিভাষ, ধ্বনি আর প্রতিধ্বনি শুনতে পেল৷
আর মাত্র গত নভেম্বর মাসে ৮২ বছর বয়সে পরলোকগত লিওনার্ড কোহেন যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁকে যেন বলতে শুনলাম: বাঃ, মেয়েটি তো দারুণ গায়, হ্যালেলুইয়া!
এসি/ডিজি