1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজযুক্তরাষ্ট্র

অ্যামেরিকায় সমলিঙ্গের বিয়েতে সেনেটের সায়

৩০ নভেম্বর ২০২২

সমলিঙ্গের বিয়ে সংক্রান্ত বিল পাস করলো মার্কিন সেনেট। এখন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তা বিচার করে দেখবে।

https://p.dw.com/p/4KGft
ক্যাপিটলের সামনে এলজিবিটিকিউয়ের সমাবেশ।
ক্যাপিটলের সামনে এলজিবিটিকিউয়ের সমাবেশ। ছবি: Jose Luis Magana/AP Photo/picture alliance

২০১৫ সালের রায়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গ ও সমবর্ণের বিয়েতে সায় দিয়েছিল। এখন সুপ্রিম কোর্ট আবার ওই সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। ফলে রক্ষণশীলদের প্রাধান্যে থাকা সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের বিয়ে বন্ধ করতে পারে ও গর্ভপাতের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় সেনেট সমলিঙ্গের ও সমবর্ণের বিয়ে সংক্রান্ত বিল পাস করেছে। ডেমোক্র্যাটরা তো বটেই, ১২ জন রিপাবলিকান সদস্যও বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিলটি সেনেটে ৬১-৩৬ ভোটে জয়ী হয়েছে।

বিলটি এবার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে যাবে। সেখানে পাস হলে বাইডেনের কাছে তা পাঠানো হবে। বাইডেন অবশ্য সেনেটে বিল পাসের পর বলেছেন, ''সেনেটে রেসপেক্ট ফর ম্যারেজ আইন পাস হওয়ার অর্থ, অ্যামেরিকা আবার তাদের মৌলিক সত্যটা স্বীকার করে নিচ্ছে, ভালোবাসার অর্থ ভালোবাসাই। অ্যামেরিকানরা তাদের ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পারবে।''

এই বিষয়টি নিয়ে অ্যামেরিকা দীর্ঘদিন ধরে বিভক্ত। বিল পাস হওয়ার পর সেনেটের নেতা চাক শুমের বলেছেন, অ্যামেরিকার এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়কে ন্যায় দেয়ার ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ নেয়া হলো। ডেমোক্র্যাটরা দ্রুত এই বিল পাস করাতে চাইছেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর সেনেটে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর হাউসে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। নতুন কংগ্রেস জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করবে।

সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত

অ্যামেরিকায় সমলিঙ্গের বিয়ে এখন আইনসঙ্গত। ১৯৬৭ ও ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে। কিন্তু গত জুনে সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাত নিয়ে আগের সিদ্ধান্ত বদল করে। তারপর এখন সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কি তাদের সিদ্ধান্ত বদল করবে, এই প্রশ্ন উঠেছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন বিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নতুন বিলে বিয়ের সংজ্ঞা বদল করা হয়েছে। আগে বলা হয়েছিল বিয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে হবে। এখন বলা হয়েছে, লিঙ্গ, বর্ণ, জাতি, দেশ নির্বিশেষে বিয়ে করা যাবে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)