‘সুনীল ছিলেন দুই বাংলার সেতুপুরুষ’
২৩ অক্টোবর ২০১২শুধু সাহিত্যিক হিসেবেই নয়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তর সম্পর্কের ভীত আরও অনেক গভীর৷ মঙ্গলবার জার্মানির দক্ষিণে হির্শব্যার্গ-এ নিজের বাসভবনে অলোকরঞ্জন বললেন, ‘‘সুনীল কোনো শূন্যতা রেখে গেলেন না৷ কারণ সাহিত্যের সমস্ত শাখায় তাঁর যে প্রবর্তনা এবং সঞ্চার, এর তুলনা পাওয়া ভার৷'' তাঁর সৃষ্টির আস্বাদন করতে এই প্রজন্মের অনেক সময় লেগে যাবে বলে মনে করেন কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত৷
দুই বাংলা তথা সমগ্র বাঙালি জাতির মধ্যে যোগসূত্র রচনার ক্ষেত্রে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান সম্পর্কে কবি অলোকরঞ্জন বললেন, ‘‘বাংলাদেশিরা – বিশেষ করে যাঁরা বাংলাদেশের বাইরে রয়েছেন, তাঁরা তাঁকে আঁকড়ে ধরেছিলেন কবচের মতন৷ যেন তিনি এসে মাঝে মাঝে পৌরোহিত্য না করলে বাঙালির আত্মপরিচয়ের জায়গাটা চূর্ণ হয়ে যাবে৷ সুনীল ছিলেন দুই বাংলার সেতুপুরুষ৷''
বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও অনেক ভাবনাচিন্তা করেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়৷ বিশেষ করে ইংরাজি ভাষায় ভারতীয় লেখকদের বেড়ে চলা পরিচিতির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তকে বলেছিলেন, দুই বাংলার বিশাল পাঠক মহলের কাছে সমাদর পেলেই তা হবে বাংলা সাহিত্যের যথেষ্ট প্রাপ্তি৷ মানদণ্ডের বিচারে তা মোটেই কম নয়!
সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ