1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্শাল নমিয়ে বিমা বিল পাস রাজ্যসভায়

১২ আগস্ট ২০২১

বেনজিরভাবেই বিমা বেসরকারিকরণ বিল পাস রাজ্যসভায়। বিল পাশের সময় মার্শালরা চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি জেনারেলের টেবিল ঘিরে রাখে।

https://p.dw.com/p/3yrtt
দিল্লির সংসদ ভবন।ছবি: picture-alliance/dpa/STR

পুরো বর্ষা অধিবেশন জুড়েই বিরোধীদের সঙ্গে সরকারের সংঘাত চলেছে। মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ টেনে ছিঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। রিপোর্টার্স টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে পড়েছেন আপ ও কংগ্রেস সাংসদরা। তার জন্য চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বুধবার ফুঁপিয়ে কেঁদেছেন। তারপরেও বিরোধীরা প্রতিবাদ দেখিয়ে গিয়েছেন। তবে বিমা বিল পাস করানোর সময় যে ছবি দেখা গেল তা বেনজির। রাজ্যসভার মার্শাল ঘিরে আছে চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি জেনারেলের টেবিল। বিরোধী সাংসদরা ওয়েলে নামার চেষ্টা করছেন। তাদের বাধা দিচ্ছে মার্শালরা। কাগজপত্র ছিঁড়ে উড়িয়ে দিচ্ছেন বিরোধীরা।

ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে মার্শালদের সঙ্গে। বিরোধী নারী সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, মার্শালরা তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। প্রতিবাদ করেছেন বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। শরদ পাওয়ার পরে বলেন, তার ৫৫ বছরের সংসদীয় জীবনে নারী সাংসদদের সঙ্গে এরকম ব্যবহার দেখেননি। আর সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, বিরোধীরাই মার্শালদের মারধর করেছেন।

এই হট্টগোলের মধ্যেই পাস হয়ে যায় বিমা বিল। এর ফলে সরকারি বিমা সংস্থাগুলি বেসরকারি হাতে তুলে দিতে আর কোনো অসুবিধা থাকল না। এর আগে নিয়ম ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিমা সংস্থায় ৫১ শতাংশ শেয়ার সরকারি সংস্থার হাতে থাকবে। বেসরকারি সংস্থার হাতে ৪৯ শতাংশ শেয়ার থাকতে পারবে। এখন সেই নিয়ম বদল করা হলো। এখন বেসরকারি সংস্থা সিংহভাগ শেয়ার কিনতে পারবে।

বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রী তার বন্ধু শিল্পপতিদের হাতে বিমা সংস্থাগুলিকে তুলে দিতে চাইছেন। তাই এই বিল আনা হয়েছে। তিনি সাধারণ মানুষ ও বিমা সংস্থার কর্মীদের কথা ভাবছেন না।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, সরকার এই সব সংস্কার নিজের বিশ্বাস থেকে করছে, কোনো বাধ্যবধকতা থেকে নয়। করোনাকালেও সংস্কারের কাজ থেমে নেই। কয়লা, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, পরমাণু ক্ষেত্রের দরজা বেসরকারি সংস্থার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।

সরকার ও বিরোধীদের সম্পর্ক কতটা খারাপ হয়েছে, তা বুধবার স্পিকারের ডাকা বৈঠকের ছবিই বুঝিয়ে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও সোনিয়া গান্ধী বৈঠকে গেছিলেন। কেউ কোনো কথা বলেননি। অমিত শাহের সঙ্গেও কথা বলেননি সোনিয়া। অধিকাংশ বিরোধী নেতা খাবারও খাননি।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, আনন্দবাজার)