1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ

১৭ জানুয়ারি ২০১৯

বুধবার আস্থা ভোটে জয়লাভের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপ চালাচ্ছেন৷ সোমবারই বিকল্প সমাধানসূত্র পেশ করতে চান তিনি৷ ইইউ সেটি মেনে নেবে কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট নয়৷

https://p.dw.com/p/3Bgll
ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে বিভক্ত ব্রিটেন
ছবি: picture-alliance/Y. Mok

পরপর দুই দিন অনুমানমতো সিদ্ধান্ত দিলো ব্রিটেনের সংসদের নিম্নকক্ষ৷ প্রথমদিন ব্রেক্সিট চুক্তি এবং দ্বিতীয় দিন সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রায় দিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যরা৷ ব্রেক্সিট চুক্তির বিরোধিতার প্রশ্নে ঐক্যের পর এবার চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিপক্ষেও অবস্থান নিচ্ছেন তাঁরা৷ তারপরই অনিশ্চয়তার পালা৷ তবে বিকল্প হিসেবে তাঁরা কী চান, তা কিছুতে স্পষ্ট হচ্ছে না৷ এতকাল ব্রেক্সিটের প্রশ্নে ‘একলা চলো' নীতি আঁকড়ে ধরার পর কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের চেষ্টা শুরু করেছেন৷ শেষ প্রহরে এমন উদ্যোগ সফল হবে কিনা, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই৷

বুধবার সন্ধ্যায় আস্থা ভোটে জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ‘নিজস্ব স্বার্থ' সরিয়ে রেখে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া অগ্রসর করতে একসঙ্গে ‘গঠনমূলকভাবে' কাজ করার ডাক দিয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার থেকে সরকার ও বিভিন্ন সমাধানসূত্রের প্রবক্তাদের মধ্যে আরো আলোচনার ঘোষণা করেন তিনি৷

প্রধানমন্ত্রী আগামী সোমবারই সরকার ব্রেক্সিট সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনা পেশ করার অঙ্গীকার করেছেন৷ মে বুধবার রাতেই প্রধান বিরোধী লেবার দল ছাড়া বাকি দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ লেবার দলের নেতা জেরেমি কর্বিন সেই আলোচনায় যোগ দেননি৷ কর্বিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিকল্পের আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেই তিনি আলোচনা করতে প্রস্তুত৷

ব্রিটেনের রাজনীতিতে চরম অনিশ্চয়তার মাঝে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একাধিক সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে৷ মূল চুক্তিতে কোনো মৌলিক রদবদলের সম্ভাবনা শুরু থেকেই উড়িয়ে দিয়েছে ইইউ৷ ইইউ-র ব্রেক্সিট সংক্রান্ত মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে জানিয়ে দিছেন, কয়েকটি প্রশ্নে কোনো রকম আপোশ সম্ভব নয়৷ তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী যদি কোনো স্পষ্ট সমাধানসূত্রকে ঘিরে ঐকমত্য গড়ে তুলতে সমর্থ হন, সে ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় হতে প্রস্তুত ইইউ৷ প্রয়োজনে আগামী ২৯শে মার্চের সময়সীমাও কিছুটা পিছ'তে পারে৷ সেটা সম্ভব না হলে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট ছাড়া আর কোনো বিকল্প অবশিষ্ট থাকবে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহলে ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রত্যাশা কাজ করছে৷ বিরোধী লেবার দল ব্রিটেনকে ইইউ-র একক বাজার ও শুল্ক ইউনিয়নের মধ্যে রাখতে চায়৷ কিন্তু সে ক্ষেত্রে ব্রেক্সিটের পরেও ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনকানুনের বেড়াজালে কার্যত বন্দি থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন এই মতবাদের বিরোধীরা৷ দ্বিতীয় গণভোটের মাধ্যমে সংকট কাটানোর প্রবক্তাগের সংখ্যাও বাড়ছে৷ তবে এমন গণভোটে কী প্রশ্ন রাখা হবে এবং রায়ের মধ্যে ব্যবধান আগের মতো কম হলে কী করা হবে, তাও স্পষ্ট নয়৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)