1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রশ্নের মুখে টেরেসা মে'র নেতৃত্ব

১২ ডিসেম্বর ২০১৮

টেরেসা মে'র নেতৃত্বের দিকে আঙুল উঠেছে স্বয়ং রক্ষণশীল শিবিরেই৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রত্যুত্তরে বলেছেন, ‘তাঁর কাছে যা কিছু আছে' তাই নিয়ে ‘আস্থা ভোট' মোকাবেলা করবেন৷

https://p.dw.com/p/39vzJ
May verschiebt Brexit-Abstimmung
ছবি: picture alliance/empics

বুধবার ব্রিটিশ সংসদের অভ্যন্তরীণ সংকট বিষয়ক সংসদ সদস্য গ্রাহাম ব্র্যাডি বলেছেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ওপর অনাস্থা প্রস্তাব আনার জিকির উঠেছে৷ মূলত রক্ষণশীল শিবিরই এই ধুয়া তুলেছে৷ 

সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটার মধ্যে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে৷ ভোটের পরপরই ফলাফল ঘোষিত হবে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাডি৷

রক্ষণশীল নেতা টেরেসা মে বলেছেন, তাঁর কাছে যা আছে তা-ই নিয়ে তিনি এই ভোট মোকাবেলা করবেন৷

ব্র্যাডি জানিয়েছেন, অনাস্থা জানিয়ে অন্তত ৪৮ জন সংসদ সদস্য তাঁর কাছে চিঠি দেয়ায় ভোটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷

সংকটের মূলে ব্রেক্সিট

আগামী ২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার জন্য মে যে চুক্তি প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছেন, মূলত তা নিয়েই ব্রিটিশ সংসদে এই বিভক্তি৷

মঙ্গলবার এই চুক্তির ওপর সংসদে ভোট হবার কথা ছিল৷ কিন্তু চুক্তি নিয়ে এমপিদের অসন্তোষের মুখে ভোট পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন তিনি৷

মে'র ওপর যাঁরা অনাস্থা এনেছেন, তাঁদের একজন সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী ওয়েন প্যাটারসন৷ তিনি বলেন, ‘‘চুক্তিটি এতই বাজে হয়েছে যে তা ইশতাহারে উল্লেখ করা প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক৷''

তবে অনেক রক্ষণশীল নেতাই মে'র পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ যেমন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট মনে করেন, ‘‘নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা এখনই উচিত হয়নি৷'' তিনি মনে করেন, ব্রেক্সিট কার্যকর করার জন্য মে-ই সঠিক নেতৃত্ব৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদও তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন৷

লড়াইয়ে প্রস্তুত

১০ ডাউনিং স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে মে বলেন, তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানেব্রেক্সিটের চুক্তি নিয়ে দরকষাকষি জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে বিরোধীলেবার পার্টির হাতে চলে যাওয়া৷ এতে ব্রেক্সিট কার্যকর দেরি হতে পারে অথবা থেমে যেতে পারে৷

‘‘ভালো ও খারাপ দুই রকম সময়ের মধ্য দিয়েই গত দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে৷ তবে আমি বিশ্বাস করেছি যে, এই চুক্তি সম্ভব৷আর এখন এটি একেবারেই হাতের মুঠোয়,'' বলেন মে৷

‘‘আমি কাজটি শেষ করতে প্রস্তুত,'' তিনি যোগ করেন৷

মে'র সামনে চ্যালেঞ্জ

আস্থা-অনাস্থার ভোটে অংশ নেবেন রক্ষণশীল ৩১৫ সংসদ সদস্য৷ ১৫৮ ভোট পেলেই মে জিতবেন৷ যদি তিনি জেতেন, আগামী এক বছর তাঁকে আর কোনো চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না সংসদ সদস্যরা৷ কিন্তু যদি তিনি হেরে যান, তাহলে তাঁকে ইস্তফা দিতে হবে এবং আগামী নেতৃত্ব নির্বাচনের লড়াইয়ে অংশ নিতে পারবেন না তিনি৷ কনজারভেটিভ দলে তাঁর পরবর্তী নেতাই তখন হবেন প্রধানমন্ত্রী৷

এদিকে, মে'র ওপর অনাস্থা আনার জন্য বিরোধী শিবিরেও, বিশেষ করে সবুজ দল ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টিও জেরেমি করবিনের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছে৷ তাঁরা চাইছেন, পুরো সংসদ জুড়ে মে'র নেতৃত্বের প্রশ্ন নিয়ে ভোট হোক৷ তবে এখন পর্যন্ত তা ঠেকিয়ে রেখেছেন করবিন৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য