1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বভারতীতে অচলাবস্থা, উপাচার্য ঘেরাও

২ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ঘেরাও করে রেখেছে ছাত্ররা। তিনজন ছাত্রের উপর থেকে শাস্তি না উঠলে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি।

https://p.dw.com/p/3zo4U
বিশ্বভারতী
ছবি: DW/P. Samanta

গত কয়েকমাস ধরেই ছাত্র আন্দোলন চলছে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে গত পাঁচ দিনে তা চরম পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছে ছাত্ররা। বুধবার সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে কংগ্রেসের ছাত্রশাখা ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার তাতে যোগ দিয়েছে তৃণমূলের ছাত্রশাখা তৃণমূল ছাত্রপরিষদ এবং সিপিএমের ছাত্রশাখা এসএফআই। আন্দোলনরত ছাত্ররা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ দাবি করেছে।

উপাচার্যও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছেন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ দিয়ে ছাত্র আন্দোলন সরানোর আবেদন জানানো হয়েছে সেখানে। ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে পৌঁছেছে পুলিশ। উপাচার্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে পুলিশ প্রহরা বসেছে বলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। উপাচার্যের অভিযোগ, ছাত্ররা কার্যত তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। খাবার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। ছাত্রদের পাল্টা বক্তব্য, সকাল-বিকেল উপাচার্যকে খাবার পাঠাচ্ছে ছাত্ররাই। বুধবার সকালে এবং সন্ধ্যায় উপাচার্যকে খাবার পাঠানো হলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ জানুয়ারি। ওই দিন শান্তিনিকতেনর প্রাণকেন্দ্র ছাতিমতলায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্ররা। ফি-বৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখান। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এরপর তিন ছাত্র-- সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান এবং রূপা চক্রবর্তী অর্থনীতি বিভাগের একটি ঘরের তালা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন। এরপরেই উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই তিন ছাত্রকে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করে। সাসপেনশনের নোটিস আসার পরেই একাধিক ছাত্র সংগঠন আন্দোলনে নেমে পড়ে। বারংবার উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েও তারা পারেননি বলে অভিযোগ করেন। শেষপর্যন্ত উপাচার্যকে ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেননি তারা।

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একের পর এক অশান্তি শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার সঙ্গে বিজেপি এবং আরএসএস-এর যোগাযোগ আছে বলেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। শুধু ছাত্ররা নয়, শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকরাও তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। উপাচার্য অবশ্য বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর আগে ডিডাব্লিউকে তিনি জানিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।

ঘটনাচক্রে বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানিয়ে এবং তার নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন উপাচার্য। তবে প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে সমস্ত তথ্য তিনি জানিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এবিপি আনন্দ)