1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেল-ট্রাম্প বৈঠক

১৭ মার্চ ২০১৭

অবশেষ অপেক্ষার অবসান৷ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে গেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ এবার ট্রাম্প-ম্যার্কেল বৈঠক৷ কী হবে? কেমন হবে বিপরীত মেরুর দুই রাজনীতিবিদের প্রথম সাক্ষাৎ?

https://p.dw.com/p/2ZNhj
Angela Merkel und Donald Trump
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler/R. Sachs

প্রথম সাক্ষাৎ বলেই কৌতূহলটা বেশি৷ নানান সম্ভাবনা এবং আশঙ্কার উঁকিঝুঁকিও বেশি৷ ‘ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স'-এর বার্লিন কার্যালয়ের প্রধান জোসেফ জ্যানিং মনে করেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি এখনকার মতো জটিল আগে কখনো হয়নি৷'' আর জটিলতার অনেকটাই তৈরি হয়েছে ধনকুবের থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও হয়ে যাওয়ার কারণে৷

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের অবশ্য এর আগে দু-দু'জন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ প্রথমে জর্জ ডাব্লিউ বুশ৷ তারপর বারাক ওবামা৷ দু'জন দুই ঘরানার রাজনীতিবিদ হলেও তাঁদের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার আলোচনা এগিয়ে নিতে ম্যার্কেলের অসুবিধে হয়নি৷ কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন৷ কারণ, প্রথমত, আগের দুই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি কাজকর্মের অভিজ্ঞতা ছিল, ট্রাম্পের তা একেবারেই নেই৷ দ্বিতীয়ত, ম্যার্কেল যেখানে তাঁর ধৈর্যশীলতা আর স্বল্পভাষী স্বভাবের জন্য প্রশংসিত, সেখানে ট্রাম্পের অবস্থান পুরোপুরি উল্টো দিকে৷ বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট সব বিষয়েই খুব তাড়াতাড়ি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং তাঁর প্রতিক্রিয়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই খুব আক্রমণাত্মক৷

তো এমন বিপরীত প্রকৃতির এক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় কী কী প্রাপ্তির আশা করছেন ম্যার্কেল? জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হার্পারের মতে, ম্যার্কেল প্রথমে নিশ্চয়ই চাইবেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কাজ করার মতো স্বাভাবিক একটা সম্পর্ক স্থাপন করতে৷ জোসেফ জ্যানিং মনে করেন, জার্মান চ্যান্সেলর ট্রাম্পকে আসন্ন জি-টোয়েন্টি সম্মেলন সম্পর্কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন৷ এছাড়া ইইউ সম্পর্কে ট্রাম্পের মনোভাব পরিবর্তনেরও চেষ্টা করতে পারেন তিনি৷

ট্রাম্প কয়েকবার পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন, ব্রাসেলসের মাধ্যমে না গিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা উচিত৷ এছাড়া ব্রেক্সিটেরও কড়া সমর্থক ট্রাম্প৷ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর আমন্ত্রণে যে কয়েকজন বিদেশি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন তার মধ্যে ‘ব্রেক্সিটের স্থপতি' নাইজেল ফারাজও ছিলেন৷

What Americans think about Merkel

মিশায়েল ক্নিগে/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য