1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পার্টির ঐতিহাসিক প্রস্তাব, মাও, ডেং-এর সমকক্ষ শি

১২ নভেম্বর ২০২১

ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাশ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে। বলা হলো, শি জিনপিং-এর মতাদর্শ চীনের আত্মা ও সংস্কৃতির সংক্ষিপ্তসার।

https://p.dw.com/p/42ucf
বেজিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। ছবি: Xie Huanchi/Xinhua News Agency/picture alliance

শি জিনপিং-এর তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়াটা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। তার আগে কমিউনিস্ট পার্টির এই প্রস্তাব নিল। একশ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রস্তাব নিল কমিউনিস্ট পার্টি। এর আগে ১৯৪৫ সালে মাও-এর জন্য নিয়েছিল। এরপর ডেং-এর সময় দ্বিতীয়বার প্রস্তাব নেয়া হয়। তৃতীয়বার নেয়া হলো শি-র জন্য। মাও ও ডেং-এর সমকক্ষ হলেন শি জিনপিং

কী বলা হয়েছে প্রস্তাবে

প্রস্তাব রীতিমতো দীর্ঘ। সেখানে দলের ইতিহাস সম্পর্কে ঠিক মনোভাব নেয়ার কথা বলা হয়েছে। সংবাদসংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চীনের সমাজ ও সব সংস্থার ঐক্যবদ্ধ হয়ে শি-র পাশে দাঁড়ানোর এটাই সময়। শি-র মতাদর্শ হলো চীনের আত্মা ও সংস্কৃতির সংক্ষিপ্তসার।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলে শি-র উপস্থিতির মূল্য অপরিসীম। দলের হৃদয়ে শি আছেন। জাতির নবজীবনের ঐতিহাসিক পদ্ধতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শি। পুরো দল, সেনাবাহিনী, দেশের মানুষ, সব জাতিগোষ্ঠীকে এক হয়ে শি-র পাশে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে এবং তার মতাদর্শ রূপায়ণ করার কথা বলা হয়েছে। সেন্ট্রাল কমিটির মতে, শি সমাজবাদের নতুন যুগ শুরু করেছেন। 

প্রস্তাবের গুরুত্ব

এই প্রস্তাবের ফলে শি-র গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেল এবং তাকে কমিউনিস্ট পার্টির অন্য প্রধান নেতাদের সমপর্যায়ভুক্ত করা হলো। তিনি মাও ও ডেং-এর সমপর্যায়ভুক্ত হলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে শি-র ক্ষমতা নিরঙ্কুশ হলো। তিনি তার ভিশন অনুয়ায়ী চলতে পারবেন। এই প্রস্তাবে মাও-র নাম সাতবার উল্লেখ করা হয়েছে। ডেং-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে পাঁচবার, আর শি-র নাম ১৭ বার। মাও-এর কালচারাল রেভলিউশনের সময়কে আগের মতো পুঁজিবাদী বা চিরাচরিত পথে চলার চেষ্টা বলা হয়নি, বরং বলা হয়েছে কালচারাল রেভলিউশনের সময় ছিল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও পুনর্গঠনের সময়। 

শি-র অবস্থান

ডেং চীনে সংস্কার প্রক্রিয়া চালু করেছিলেন। কিন্তু এখন শি যেভাবে চলেছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে, তার কর্তৃত্ব আরো বেশি। আগে নিয়ম ছিল দুইবারের বেশি কেউ প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন না। কিন্তু শি যাতে এই পদে আরো বেশি সময় ধরে থাকতে পারেন, তার জন্য ২০১৮ সালে নিয়ম বদল করা হয়েছে। ৬৮ বছর বয়সি শি এখন আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারেন। দলের ভিতরে তার সেরকম কোনো শত্রুও নেই। তার রাজনৈতিক তত্ত্ব এখন 'শি জিনপিং থট' বলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হয়। সেখানে সেনার বদলে দলের নেতৃত্বের পূর্ণ ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনের মান উন্নয়ন করার কথা বলা হয়েছে। 

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)