1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে ‘একত্রিত করার’ ঘোষণা শি জিনপিংয়ের

৯ অক্টোবর ২০২১

তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণভাবে চীনের সাথে একত্রিত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং৷ বেইজিং ও তাইপের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনার মাঝেই শনিবার এমন ঘোষণা দিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট৷

https://p.dw.com/p/41TNW
China - Xi Jinping in Beijing
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংছবি: Carlos Garcia Rawlins/REUTERS

‘‘মাতৃভূমির সম্পূর্ণ পুনরেত্রীকরণের ঐতিহাসিক কাজটি অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে,’’ রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মকর্তা ও সুধীসমাজের লোকজনের সামনে চীনের বিখ্যাত গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে দেয়া ভাষণে বলেন জিনপিং৷  

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত দ্বীপ-অঞ্চল তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ করতে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপরতা চালাচ্ছে চীন৷

চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের দেশেরই অংশ৷ এটি চীন থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ, যেটি ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে মিশে যাবে৷ তবে গত দুই দশক ধরে তাইওয়ানের বেশ কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলন করে যাচ্ছে৷ 

চলমান উত্তেজনার মাঝে জিনপিং-এর দেয়া এমন মন্তব্য আলাদা গুরুত্ব বহন করছে, বলে মনে করা হচ্ছে৷  গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিন তাইওয়ানের আকাশে ঢুকে পড়ছে চীনের বিমানবাহিনী৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সমমনা গণতান্ত্রিক দেশের সহায়তা চাইছে তাইওয়ান৷

যা বললেন শি জিনপিং

সর্বশেষ রাজবংশের পতনের বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানটিতে দেয়া ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ‘‘বিচ্ছিন্নতা দমনে চীনের গৌরবময় ঐতিহ্য আছে৷''

তাইওয়ানে স্বাধীনতা আন্দোলনকে বিচ্ছিন্নতাবাদ বলে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘‘এটি পুনরেত্রীকরণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা এবং পুনঃশক্তিসঞ্চারের পথে লুকিয়ে থাকা একটি মহাবিপদ৷''

তার মতে, শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণ হলেই তাইওয়ানের জনগণের সব ধরনের চাওয়া-পাওয়া পূরণ হবে৷

তিনি আরো বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের জনগনের যে দৃঢ় সংকল্প, তীব্র ইচ্ছা ও সামর্থ্য রয়েছে তাকে খাটো করে দেখা উচিত নয়৷’’

‘‘মাতৃভূমির পূনরেত্রীকের যে ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা তা অবশ্যই পূরণ হবে এবং এটি হতেই হবে,’’ বলেন তিনি৷

তাইওয়ানের প্রতিক্রিয়া

এদিকে, শি জিনপিংয়ের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বলা হয়, এই ভূখণ্ডের ভবিষ্যত এখানকার জনগণ নির্ধারণ করবে৷  চীনের ‘এক দেশ দুই নীতি’ মডেল প্রত্যাখান করে প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, এটি পরিষ্কার যে এখানকার জনগণ এই মডেল গ্রহণ করছে না৷

এদিকে তাইওয়ানের মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল আলাদা এক বিবৃতিতে চীনের প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যকে ‘অনুপ্রবেশকারী উত্তেজনামূলক পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে চীনকে ‘হয়রানি ও ধ্বংসাত্মক’ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়৷   

আরআর/জেডএ (রয়টার্স, এএফপি)