1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজসাউথ আফ্রিকা

জুলু শিল্পকলার পুনরুজ্জীবন ঘটাচ্ছেন এমবালি

২২ মার্চ ২০২৪

শহুরে জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়লে পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য যে ফিকে হয়ে যায়, বিশ্বের অনেক সংস্কৃতিই তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে৷ দক্ষিণ আফ্রিকার এক নারী সেই ঐতিহ্য নতুন করে প্রাসঙ্গিক ও আকর্ষণীয় করে তুলছেন৷

https://p.dw.com/p/4e2B5
আফ্রিকান হস্তশিল্পের একটি ছবি
এমবালি নিজের এনগুনি সংস্কৃতির চিরায়ত পুঁতি তৈরির কাজে আগ্রহীছবি: Thierry Bresillon/Godong/picture alliance

এনগুনি উপজাতির নারীরা বিখ্যাত স্পোর্টস ব্র্যান্ড নাইকি-র জন্য এক ট্যাপেস্ট্রি সৃষ্টি করেছেন, সেই খবর ক'জন জানে? এনগুনিরা কাচের পুঁতি তৈরির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার এবং বাইরের প্রভাব দূরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ডিজাইনার হিসেবে এমবালি এমথেথওয়া মনে করেন, ‘‘মানুষ পশ্চিমা জগতের কায়দায় উপার্জনের চেষ্টা করছে৷ আমরা ঐতিহ্যের মধ্যে আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে পরিচিতি বাড়িয়ে তুলছি৷''

এমবালি নিজের এনগুনি সংস্কৃতির চিরায়ত পুঁতি তৈরির কাজে আগ্রহী৷ কিন্তু তিনি কেন কাচের পুঁতি তৈরির শিল্প পুনর্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? কেনই বা তিনি বড় ট্যাপেস্ট্রির জমি হিসেবে সেই পুঁতি ব্যবহার করেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি শহুরে পরিবেশে বড় হয়েছি৷ আমি মিশ্র জাতির স্কুলে পড়েছি৷ হাই স্কুল শেষ করার পর নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি থেকে খুব বিচ্ছিন্ন বোধ করছিলাম৷ নিজেকে খোঁজার, শহুরে ও পশ্চিমা জীবনধারায় অভ্যস্ত জুলু নারী হিসেবে নিজের পরিচয় বোঝার পথ খুঁজছিলাম৷ গবেষণার সময়ে আমি পুঁতির কাহিনির সংস্পর্শে এলাম৷ সেই পুঁতি কীভাবে, কোথা থেকে এসে আমাদের পরিচ্ছদের সংস্কৃতিতে সম্পৃক্ত হয়েছে, সেই কাহিনি নিজের পরিচয় খোঁজার একটা পথ৷ অন্যদের লেখা আমাদের ইতিহাস ও নথিপত্র আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করি না৷ কারণ সেগুলি খুবই পক্ষপাতদুষ্ট৷ তারা ভাবতো কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ আসলে আদিম৷ তাই কোনো এক বস্তুর মধ্যে আসল কাহিনি লুকিয়ে রয়েছে৷ সেই বস্তু, সেই পুঁতি জুলু সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু উন্মোচন করে৷''

সোয়েটোর শাপা স্টেডিয়ামে যে বিশাল মাপের ট্যাপেস্ট্রি শোভা পাচ্ছে, সেটি সৃষ্টি করতে এমবালিকে এক টিম গড়ে তুলতে হয়েছিল৷ তাঁর ডিজাইনকে বাস্তব রূপ দিতে অনেক মানুষ সেই কঠিন কাজ করেছেন৷ সেই এনগুনি কারিগরদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিল? এমবালি এমথেথওয়া বলেন, ‘‘আমি ইন্টারনেট ঘেঁটে অনেক গবেষণা চালিয়ে জানার চেষ্টা করছিলাম, আদৌ কোনো সংগঠন পুঁতির কাজ করে কিনা৷ সৌভাগ্যবশত আমি সিয়াসিজা ট্রাস্ট নামের এক এনজিও-র সন্ধান পেলাম৷ তারা অনেক গোষ্ঠী ও কারিগরের সঙ্গে কাজ করে৷ প্রথম দিকে আমি কয়েকজন নারী, পুরানো প্রজন্মের গোগোদের দেখা পেলাম৷ তারপর কাজ শুরু করার পর সেই সব সম্প্রদায়ের মাঝে গিয়ে কথা বলে বুঝতে পারলাম যে আসলে তরুণ প্রজন্মের অনেক মানুষও সেই কাজ জানে৷ কিন্তু উপার্জনের তাগিদে তাদের অন্য কাজ করতে হয়৷ আমার মতে, তাদের সামনে অন্য কোনো পথ খোলা নেই৷''

প্রাচীন এনগুনি শিল্পকলার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল৷ এমবালি ও তাঁর টিম সেই ধারা বাঁচিয়ে রাখতে লাগাতার পরিশ্রম করে চলেছেন৷

লামিজ খুমাালো/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান