1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে করোনায় আরো এক লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা

১০ নভেম্বর ২০২১

জার্মানির বিশিষ্ট এক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ভয়াবহ পূর্বাভাস দিচ্ছেন৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে কমপক্ষে আরো এক লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/42o8l
Deutschland Stuttgart Corona-Impfung
ছবি: AFP

জার্মানিতে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে গড় সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ২৩২ পেরিয়ে গেছে৷ পরিস্থিতির লাগাতার অবনতির ফলে করোনা টিকা নিতে অনিচ্ছুক মানুষের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ডাক জোরালো হচ্ছে৷ সেইসঙ্গে হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীর ভিড়ের কারণে গুরুতর অসুস্থ অন্যান্য মানুষের চিকিৎসা ও অপারেশনে বিঘ্ন ঘটায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ দলীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতা বর্জন করে গোটা দেশজুড়ে অবিলম্বে অভিন্ন কড়া বিধিনিয়ম চাপানোর দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷

জার্মানির আগামী সরকার গড়ার লক্ষ্যে এসপিডি, এফডিপি ও সবুজ দলের আলোচনা প্রক্রিয়ায় বর্তমান করোনা সংকট সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার সংসদে এই তিন দলের সম্মিলিত আইনের খসড়া নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হবার কথা৷ সেই প্রস্তাব অনুযায়ী জার্মানির রাজ্যগুলি ভবিষ্যতেও পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনমতো বিধিনিয়ম চালু করার অধিকার পাবে৷ অর্থাৎ ২৫শে নভেম্বর মহামারিজনিত জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হলেও আপাতত  আরও ছয় মাস বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করা যাবে৷ ইতোমধ্যেই জার্মানির একের পর এক রাজ্য বদ্ধ জায়গায় শুধু করোনা টিকাপ্রাপ্ত ও করোনাজয়ীদের প্রবেশাধিকারের নিয়ম চালু করেছে৷ অর্থাৎ সুযোগ সত্ত্বেও করোনা টিকা না নেওয়া মানুষের জন্য পরোক্ষ লকডাউন চাপানো হচ্ছে৷ গোটা দেশের জন্য একই নিয়ম চাপানোর আইনি ভিত্তি দুর্বল হওয়ায় আদালতে সেই নিয়ম বাতিল হতে পারে বলে অনেক রাজনীতিক আশঙ্কা করছেন৷

জার্মানির বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ক্রিস্টিয়ান ড্রস্টেন শীতের মাসগুলির জন্য ভয়াবহ এক পূর্বাভাস দিয়েছেন৷ তার মতে, করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে সবার জন্য আবার  লকডাউনের প্রয়োজন হতে পারে৷ অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ না নিলে জার্মানিতে করোনার কারণে মৃত্যুর তালিকায় কমপক্ষে আরও এক লাখ মানুষ যোগ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করছেন৷ ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি এমন ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন৷ যে ভাবে হোক, মানুষের মধ্যে যোগাযোগ কমিয়ে মহামারি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি৷ এখনো পর্যন্ত করোনার প্রতিটি ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আনতে একমাত্র সেই হাতিয়ার কাজে লেগেছে৷ নতুন করে সবার জন্য বিনামূল্যে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করেও সংক্রমণের ঢেউ ভাঙা যাবে না বলে তিনি মনে করছেন৷

এ প্রসঙ্গে ড্রস্টেন মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে গত বছরের তুলনায় এ বছরের পরিস্থিতি আসলে অনেক বেশি মারাত্মক৷ কারণ করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট করোনা টিকাপ্রাপ্তদেরও সংক্রমণের বাহক করে তুলেছে৷ এমন মানুষ প্রায় কোনো বাধা ছাড়াই সমাজে সবার সঙ্গে মেলামেশা করছেন৷ ফলে ভাইরাস আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে এবং বিশেষ করে সুযোগ সত্ত্বেও টিকা না নেওয়া মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য