1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজসুইডেন

ঈদের দিনে সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো হলো

২৯ জুন ২০২৩

স্টকহোমের সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ালো দুই ব্যক্তি। ইউরোপে ঈদের দিন এই ঘটনা ঘটলো।

https://p.dw.com/p/4TC1x
৩০ বছর বয়সি মোমিকা পবিত্র কোরআন পোড়াবার অনুমতি চেয়েছিল আদালতের কাছে।
৩০ বছর বয়সি মোমিকা পবিত্র কোরআন পোড়াবার অনুমতি চেয়েছিল আদালতের কাছে। ছবি: Stefan Jerrevång/TT /picture alliance

ইরাক থেকে আসা অভিবাসী সলমন মোমিকা ও এক ব্যক্তি এই কাজ করেছে।  সুইডেনের সরকারি ব্রডকাস্টার এসটিভি জানিয়েছে, এই ব্যক্তি কোরআন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল। সে এই কাজ করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। আদালত তাকে অনুমতি দেয়। তারপর পুলিশের উপস্থিতিতে সে এই কাজ করে। প্রথমে সে পবিত্র কোরআনের পাতা ছেঁড়ে, তারপর তা পোড়ায়। আরেকজন ব্যক্তি তাকে সাহায্য করে। শ-দুয়েক মানুষ এই ঘটনা দেখে।

এই ঘটনার পর সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা আরো কমলো। এর আগেও সুইডেনে কোরআন অপবিত্র করার ঘটনা ঘটনা ঘটেছিল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান তখন জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এই ঘটনা বরদাস্ত করবেন না। তুরস্ক কোনোভাবেই সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য হওয়াকে সমর্থন করবে না।

এরপর অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এর্দোয়ান তার মত থেকে সরে আসেননি। ঈদের দিন এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে তুরস্ক। সব সদস্যদেশ মেনে না নিলে কোনো নতুন দেশ ন্যাটোর সদস্য হতে পারে না।  ফলে একা তুরস্ক বিরোধিতা করলেই সুইডেনের আর ন্যাটোর সদস্য হওয়া হবে না। এই ঘটনার পর তাদের সেই সম্ভাবনা আর থাকলো কিনা, তানিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

স্টকহোমে মসজিদের সামনে এভাবেই ব্যারিকেড লাগায় পুলিশ।
স্টকহোমে মসজিদের সামনে এভাবেই ব্যারিকেড লাগায় পুলিশ। ছবি: Stefan Jerrevång/picture alliance

কেন এই অনুমতি?

সুইডেনের আদালত তাদের রায়ে বলেছে, ''কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কোরআন পোড়ানো হলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। বর্তমান আইন অনুসারে এই কাজে বাধা দেয়া যায় না। আর নিরাপত্তার বিষয়টি এত বড় নয় যে বাধা দেয়া ঠিক হবে। সেজন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ যেন এই জমায়েতের অনুমতি দেয়।''

সুইডেনের সমস্যা

পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা সুইডেনে বারবার করে ঘটছে। অতি-দক্ষিণপন্থিরা অতীতে এই কাজ করে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন।

অতি-দক্ষিণপন্থি রাজনীতিবিদ পালুদান তো এই কাজ করে বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন। তবে এবারের ঘটনার সঙ্গে তার কোনো যোগ নেই।

এখনো আশা

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এখনো ন্যাটোর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী। তিনি বলেছেন, ন্যাটোর আগামী বৈঠকে তিনি তুরস্কের তোলা বেশ কিছু আপত্তির জবাব দেবেন। তিনি এই কাজকে কোনোভাবেই সমর্থন করেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্য, সুইডেনে এই কাজ আইনি, কিন্তু একেবারেই উচিত নয়, কাম্যও নয়।

অ্যালেক্স বেরি/জিএইচ(ডিডাব্লিউ)