1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফিনল্যান্ড

কোরআন পোড়ানো: সুইডেনকে ছাড়ছে ফিনল্যান্ড?

২৫ জানুয়ারি ২০২৩

কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে সুইডেনের বিরোধিতায় তুরস্ক। তাদের ছাড়াই ন্যাটোতে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত ফিনল্যান্ডের।

https://p.dw.com/p/4Meu6
ফিনল্যান্ডের ন্যাটো যোগদান
ছবি: LCpl Spencer/Ministry of Defence/Crown/PA/picture alliance

দুই প্রতিবেশী দেশ সুইডেন ও ফিনল্যান্ড এতদিন একযোগে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার প্রয়াস চালাচ্ছিল। কিন্তু স্টকহোমে প্রথমে কুর্দদের বিক্ষোভে এর্দোয়ানের কুশপুতুল পোড়ানো এবং পরে গত শনিবার তুরস্ক দূতাবাসের কাছে কোরআন পোড়ানোর পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। এর্দোয়ান সিদ্ধান্ত, নিয়েছেন, তুরস্ক আর ন্যাটোর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে সুইডেনকে সমর্থন করবে না। আর নিয়ম হলো, প্রতিটি সদস্য দেশ সমর্থন করলে তবেই নতুন কোনো দেশ ন্যাটোর সদস্য হতে পারে। ফলে এর্দোয়ান মত না বদলালে সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়া বিশ বাঁও জলে।

এই অবস্থায় ফিনল্যান্ড ইঙ্গিত দিয়েছে, সুইডেনকে ছাড়াই তারা ন্যাটোর সদস্য হতে চায়। এক বিবৃতিতে ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেক্কা হাভিস্তো বলেছেন, ''আমরা এখনো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি। আমাদের দেখতে হবে, সুইডেনের আবেদন দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে যাচ্ছে কি না।''

হাভিস্তো বলেছেন, যৌথ আবেদনপত্র এখনো তাদের কাছে প্রথম বিকল্প। কিন্তু সুইডেনের আবেদনপত্র দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে গেলে তারা অন্য বিকল্পের কথা ভাববেন।

ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ১৪ মে তুরস্কে নির্বাচন। তার আগে ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে এর্দোয়ান কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।

সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলস্টর্ম জানিয়েছেন, তারা ফিনল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। ফিনল্যান্ড কী চায়, তা তারা বোঝার চেষ্টা করছেন।

কেন ফিনল্যান্ডের মত পরিবর্তন?

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ঘোষণার একদিনের মধ্যেই ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া এলো। এর্দোয়ান বলেছেন, যারা কোরআন পোড়াবার মতো কাজ হতে দিয়েছে, তারা যেন মনে না করে যে, আমরা তাদের ন্যাটোর সদস্য হতে সাহায্য করব।

সুইডিশ সরকার জানিয়েছে, তারা এই কাজ কোনোভাবেই সমর্থন করে না। তারা ঘটনার নিন্দা করেছে। কিন্তু সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দিতেও রাজি নয়।

এই পরিস্থিতিতে ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ন্যাটোর সদস্য হতে না পারলে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তার প্রশ্ন আবার সামনে আসবে। এর জন্য ওই বিক্ষোভই দায়ী থাকবে।

সুইডেন ও ফিনল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে নিরপেক্ষতার নীতি নিয়ে চলছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর তারা ন্যাটোয় যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা একসঙ্গেই এই বিষয়ে এগোচ্ছিল। কয়েক মাস আগে তুরস্কের সঙ্গে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সমঝোতাপত্র সই হয়। কিন্তু কোরআন পোড়ানোর ঘটনা পুরো পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)