1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া নেতানিয়াহু

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ইসরায়েলের নির্বাচনের ফলাফল এখনো প্রকাশিত না হলেও সমীক্ষা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বড় ধাক্কা খেয়েছেন৷ সরকার গড়তে ব্যর্থ হলে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3PlOq
ইসরায়েলের নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও বেনি গানৎস
ছবি: Reuters/A. Cohen

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বেনইয়ামিন ‘বিবি' নেতানিয়াহু৷ এই সময়কালে ইসরায়েলের মানুষকে নিরাপত্তা নিয়ে প্রায় কোনো দুশ্চিন্তা করতে হয় নি৷ আত্মঘাতী হামলা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্তব্ধ করে দেয় নি৷ কিন্তু অন্যদিকে চরম বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন এই নেতা৷ তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রতারণাসহ একাধিক মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে, সেগুলির ভিত্তিতে তদন্তও চলছে৷ ক্ষমতা হারালে ও সংসদ সদস্য হিসেবে রক্ষাকবচ উঠে গেলে বিবির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে৷

এই অবস্থায় নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনকেই হাতিয়ার করেছিলেন বিবি৷ গত এপ্রিল মাসে নির্বাচনে কোনোরকমে জিতে জোট সরকার গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি৷ কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আবার নির্বাচন আয়োজন করতে হয়েছে৷ মঙ্গলবার ইসরায়েলের মানুষ আবার ভোট দিয়েছেন৷ এখনো ফলাফল জানা না গেলেও বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী এবারও নেতানিয়াহুর পক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন হবে৷ সরকারি ফলাফল জানতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগতে পারে৷ তবে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের এক দিন আগেই স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যেতে পারে৷

এবারের নির্বাচনে বিবির প্রধান প্রতিপক্ষ সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান ও মধ্যপন্থি ‘নীল ও সাদা' দলের নেতা বেনি গানৎস৷ দুজনের মধ্যে কেউই জয়ের দাবি করতে পারছেন না৷ মঙ্গলবার রাতে লিকুদ দলের সদর দপ্তরে বিবি নেতানিয়াহুকে কিছুটা বিমর্ষ দেখাচ্ছিল৷ অন্যদিকে গানৎস আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন৷ শেষ পর্যন্ত যে দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাক না কেন, জোট গড়তে অন্যান্য দলের সমর্থনের প্রয়োজন হবে৷ ধর্মীয় ভবাদর্শে উদ্বুদ্ধ ও ধর্মনিরপক্ষ দলগুলির মতিগতির উপর সেই জোটগঠন অনেকটাই নির্ভর করবে৷ ধর্মভিত্তিক দলগুলি নেতানিয়াহু ও ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি গানৎস-এর প্রতি সমর্থন জানাতে পারে৷ তবে সরকার গড়ার উদ্যোগ আবার বিফল হলে জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের সম্ভাবনাও রয়েছে৷ তবে সে ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

নেতানিয়াহু যুগের অবসান ঘটলে ইসরায়েলের রাজনীতি জগতে আমূল পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন অনেক পর্যবেক্ষক৷ নানা অভ্যন্তরীণ বিষয় ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তির উদ্যোগের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পদক্ষেপ আশা করা যেতে পারে৷ ইরানের প্রতি চরম বৈরি মনোভাবের বদলে বাস্তববাদী নীতি গ্রহণ করতে পারেন বেনি গানৎস বা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য নেতা৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)