অন্তিম শয়ানে মান্নান ভূঁইয়া
২৮ জুলাই ২০১০মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মান্নান ভূঁইয়া প্রমাণ করে গেলেন সব দলের সব মতের মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল৷ তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন রাজনীতিবিদ৷ তাঁর রাজনৈতিক দীক্ষা হয়েছিল ওয়াকার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেননের মাধ্যমে৷ মেনন বললেন, ছাত্র আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সহযোদ্ধা মান্নান ভুইয়া৷
তারপর মতের পরিবর্তন ঘটেছে৷ দল ছেড়েছেন, দল গড়েছেন৷ ১১ বছর মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে শেষ দিকে বিএনপি থেকেও তাঁকে বিদায় নিতে হয়েছিল৷ কিন্তু সহকর্মীরা তাঁর মূল্যায়ন করেন, তাঁর সংগ্রামী চেতনা দিয়ে৷ একথাই বললেন হাসানুল হক ইনু৷ শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়াও উল্লেখ করলেন, তাঁর সংগ্রামের কথা৷
মতের পার্থক্য থাকলেও মান্নান ভূঁইয়ার অকালে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ৷ আর সংসদের চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বললেন তাঁর গণ মানুষের সাথে সম্পৃক্ত রাজনীতির কথা৷ বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ার বললেন, ভবিষ্যৎ রাজনীতি যেন তাঁকে অনুসরণ করে৷
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজার পর আব্দুল মান্নান ভূইয়ার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর গ্রামের বাড়ী নরসিংদীতে৷ বুধবার বিকেলে সেখানে তাঁকে দাফন করা হয়৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক