স্পেনে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রের বিপুল ভাণ্ডার
১৫ মার্চ ২০১৭অস্ত্রশস্ত্রের পরিমাণ এমন যে, তা পরীক্ষা করে তার খতিয়ান তৈরি করতে পুলিশের দু’মাস সময় লেগেছে৷
পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, ঐ গুদামে যে অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ৯,০০০ ‘সেটমে’ স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল ছিল৷ সেটমে বা সিইটিএমএ হলো স্পেনের অস্ত্রনির্মাতা সেন্ত্রো দে এস্তুদিওস টেকনিকোস দে মাতেরিয়ালেস সংস্থার সংক্ষিপ্ত নাম৷
সেই গুদামে পুলিশ বিমান-বিধ্বংসী কামান থেকে শুরু করে গ্রেনেড, পিস্তল ও রিভলভার ইত্যাদিও পেয়েছে৷ পুলিশ যেসব ছবি প্রকাশ করেছে তাতে গুদামের মেঝেতে অস্ত্রশস্ত্র সাজানো রয়েছে৷ গুদামের দেয়ালেও রাইফেল ইত্যাদি ঠেস দিয়ে দাঁড় করানো রয়েছে৷
স্পেনীয় পুলিশ গত জানুয়ারি মাসের ১২ ও ১৩ তারিখে কাতালোনিয়া, কান্তাব্রিয়া ও বাস্ক প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে এসব অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে৷ এই তল্লাসি অভিযান চালানোর কারণ ২০১৪ সালের মে মাসে বেলজিয়ামের একটি ইহুদি মিউজিয়ামে গুলিচালনার ঘটনা৷ সেই ঘটনায় চারজন নিহত হয়৷ তারপর থেকেই ইউরোপ জুড়ে কর্তৃপক্ষ অস্ত্রশস্ত্রের কালোবাজার রোখার চেষ্টা চলছে৷
জানুয়ারির অভিযানে পাঁচজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ এরা নাকি বাতিল অস্ত্রশস্ত্র কিনে সেগুলোকে আবার সচল করত৷ এই ‘রিঅ্যাকটিভেশন’-এর জন্য যে ধরনের পার্টস ইত্যাদি দরকার, তাও গুদামে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে৷
হাজার হাজার অস্ত্র ছাড়াও অস্ত্রের কাগজপত্র জাল করার মালমশলা পাওয়া গিয়েছে; অস্ত্রের উপর যে আইডি নম্বর থাকে, তা বদলানোর যন্ত্রপাতিও পাওয়া গিয়েছে৷ গোটা অভিযানে স্পেনীয় কর্তৃপক্ষ ইউরোপোলের সহযোগিতা নিয়েছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুলিশবাহিনী ইউরোপোলের বিশ্বাস যে, এইসব অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র স্পেন, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল৷
‘‘বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্রশস্ত্র সহজেই কালোবাজারে গিয়ে পড়তে পারত এবং এগুলি সংগঠিত অপরাধগোষ্ঠী ও সন্ত্রাসীদের হাতে গিয়ে পড়ার লক্ষণীয় ঝুঁকি ছিল,’’ ইউরোপোল তার বিবৃতিতে বলেছে৷
সিএমবি/এসি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)