সোমালিয়ায় আল-শাবাবের হুমকি, সংঘর্ষে নিহত এগারো
২৮ আগস্ট ২০১০শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়ে যায় সশস্ত্র সংঘর্ষ৷ ঘটনাস্থল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর দক্ষিণাঞ্চল৷ শনিবার মোগাদিশুতে পুলিশের সদরদপ্তরে বসে সরকারি নিরাপত্তা দপ্তরের মুখপাত্র মোহামেদ আদেন জানিয়েছেন, আডেন বন্দরের দখল নিতে দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল সন্ধ্যা থেকে পথে নেমেছিল আল-শাবাবের শাখা সংগঠন সুফি জঙ্গিদের একটা বাহিনী৷ সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এগারোজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে৷ পরে ব্যাপক হারে সেনা নামিয়ে এলাকার দখল কায়েম রেখেছে সরকার৷ দাবি করেছেন নিরাপত্তা মুখপাত্র৷
এলাকার দখল কায়েম করা নিয়ে নিরাপত্তা দপ্তরের বড়াই কিন্তু রাজধানী মোগাদিশু পর্যন্ত৷ যেকোন সময় যে রাজধানীর দখল নেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে আল-শাবাব৷ আল-শাবাব এখন জঙ্গি সংগঠনের ‘এলিট দল'-এর তালিকায় নিজেদের নাম লেখাতে চায়৷ সুতরাং, সোমালিয়াকেই তারা জঙ্গি প্রশিক্ষণের ঘাঁটি করবে বলেও শাসিয়েছে৷ তেমন কিছু হলে আল-কায়েদা কিংবা তালেবান-এর মত জঙ্গি মহলে হেভিওয়েট নামের সঙ্গে জুড়ে যাবে আল-শাবাবের নামটাও৷ পাশাপাশি, আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের দিকে যে পরিমাণ মনোযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, তাতে সেখান থেকে জঙ্গি সংগঠন সরিয়ে নিতে পারলে কার্যক্ষেত্রে সুবিধাই হবে আল-কায়েদার বা তালেবানের৷
বস্তুতপক্ষে সোমালিয়ার নিয়ন্ত্রণ ক্রমশই হারাচ্ছে সেদেশের সরকার৷ দেশের উত্তর আর দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় কোনরকম সরকারি কার্যকলাপ বা অস্তিত্ব কোনটাই নেই৷ জলপথে আডেন উপসাগরের দখলও চলে গেছে সোমালি জলদস্যুদের হাতে৷ রাজধানী মোগাদিশুর কিছু এলাকায় সরকারি হুকুমনামা বজায় থাকার কারণ বিদেশি এবং জাতিসংঘ বাহিনীর সমর্থন৷ যেকোন সময় এই সরকারকে তাই ফেলে দিতে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে আল-শাবাব৷ আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত এই আল-শাবাব আফ্রিকার সবচেয়ে বড়মাপের জঙ্গি সংগঠন৷ এদের বেড়ে ওঠা ইউরোপেরও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে অচিরেই৷
প্রতিবেদন:সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম