1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীর মৃত্যু, হাঙ্গেরিকে ৪০ হাজার ইউরো জরিমানা

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ইউরোপের শীর্ষ মানবাধিকার আদালত ২০১৬ সালে মারা যাওয়া এক শরণার্থীর অধিকার লঙ্ঘনের দায়ে হাঙ্গেরিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে৷ ইউরোপে শরণার্থীদের সুরক্ষায় হাঙ্গেরির রেকর্ড সবচেয়ে খারাপ৷

https://p.dw.com/p/4N3Ic
ইউরোপের শীর্ষ মানবাধিকার আদালত
ইউরোপের শীর্ষ মানবাধিকার আদালতছবি: Frederick Florin/AFP/Getty Images

২০১৬ সালে হাঙ্গেরির সীমান্তরক্ষীদের হাতে ২২ বছর বয়সি এক সিরীয় শরণার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার দেশটিকে প্রায় ৪০ হাজার ইউরো (৪৩ হাজার ৭০০ ডলার) জরিমানা করেছে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর)৷

মৃত সেই যুবকের জার্মানিতে বসবাসরত ভাই মামলাটি দায়ের করেন৷ তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য তিনি সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দায়ী করেছেন৷ 

ইসিএইচআর মনে করে, হাঙ্গেরি তার ভাইয়ের বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘন করেছে৷ এছাড়াও তার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করতেও দেশটি ব্যর্থ হয়েছে৷

আদালতের নথিতে দেখা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুন চোরাকারবারিদের একটি নৌকায় করে সার্বিয়া থেকে তিজসা নদী পাড়ি দিয়েছিলেন মামলাকারী ব্যক্তি ও তার ভাই হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করে৷

তিনি বলেন, সীমান্তে পৌঁছালে হাঙ্গেরির সীমান্তরক্ষীরা তাদের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে এবং সার্বিয়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকে৷ তারা ইরাকি পরিবারের বাচ্চাদের অফিসারদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে ও কুকুরকে লেলিয়ে দেয়৷

তাদের বহন করে আনা নৌকাটি ততক্ষণে চলে যাওয়ায় শরণার্থীরা সাঁতরে সার্বিয়ায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ এক সময় আবেদনকারী লক্ষ্য করেন তার ভাই পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন এবং কাঁদানে গ্যাসের কারণে কাশছিলেন৷ দু’দিন পর তার মৃতদেহ নদীতে দেখা যায়৷

এই ঘটনার পরবর্তী কয়েক মাসে একই ধরনের ১০০টিরও বেশি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী কমিশন (ইউএনএইচসিআর), যেখানে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করা লোকদের সঙ্গে সহিংসতার প্রমাণ পাওয়া গেছে৷

হাঙ্গেরির কট্টর ডানপন্থি সরকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দেশে প্রবেশ বা অন্য দেশে যাওয়ার জন্য চলাচলে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর নীতি প্রয়োগ করেছে বলে জানায় সংস্থাটি৷ 

একেএ/ এসিবি (ডিপিএ, ইএফই)