লিবিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিল বিরোধীরা
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১জাউইয়াহ দখল কেন গুরুত্বপূর্ণ
শহরটি রাজধানীর খুব কাছে অবস্থিত এবং মাত্র দু'দিন আগেই গাদ্দাফি ঐ শহরে গিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন৷ এরপর থেকেই সেখানে গাদ্দাফির সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষ চলছিল৷ এতে ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ডাক্তার৷ আজ সকালেই সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি সাংবাদিকদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ উদ্দেশ্য ছিল শহরটি যে সরকারের নিয়ন্ত্রণে সেটা দেখানো৷ কিন্তু সাংবাদিকরা দেখতে পান ঘটনা উল্টো৷ শহর নিয়ন্ত্রণ করছে গাদ্দাফি বিরোধীরা৷ তারা আকাশে গুলি ছুঁড়ে আনন্দ প্রকাশ করছেন৷ আর বলছেন গাদ্দাফির যুগ শেষ৷
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপ কেন তাৎপর্যপূর্ণ
দুটি কারণে৷ এক, এই প্রথমবারের মত কোনো দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যের সমর্থন পাওয়া গেছে৷ আর দুই, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি'কে কোনো দেশের সহিংস ঘটনা তদন্ত করতে দেয়ার ঘটনা এটা দ্বিতীয়৷ এর আগে ২০০৫ সালে সুদানের ক্ষেত্রে এটা করা হয়েছিল৷ তবে লিবিয়ার ব্যাপারটা এক্ষেত্রেও অনন্য৷ কারণ নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য এক্ষেত্রেও একযোগে সমর্থন জানিয়েছে৷ সাধারণত সদস্য রাষ্ট্ররা কোনো দেশের ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব আইসিসি'কে দিতে রাজি থাকে না৷ কারণ তারা মনে করে এই সিদ্ধান্ত কোনো একদিন তাদের বিপক্ষেও নেয়া হতে পারে৷ তবে লিবিয়াকে আইসিসি'তে পাঠানোর ক্ষেত্রে আরব লিগ, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘে লিবিয়ার মিশনের সমর্থন ছিল বলেই নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য এতে রাজি হয়েছে৷ জাতিসংঘে নিযুক্ত লিবিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত বলছেন এই নিষেধাজ্ঞা বিরোধীদের ‘মানসিকভাবে সমর্থন' দিবে৷
নির্বাচনের জন্য কমিটি গঠন
গাদ্দাফির নিয়োগ দেয়া বিচারমন্ত্রী মুস্তফা আবদেল-জলিল বিরোধীদের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন৷ এরপর তিনি বলেন একটা কমিটি গঠন করা হবে৷ যেখানে সেনা কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিরা থাকবে৷ তারা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে৷ বিরোধীদের দখলে থাকা শহর বেনগাজিতে এ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ আর যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘে নিযুক্ত লিবীয় রাষ্ট্রদূতরা এই পরিকল্পনায় সমর্থন দিয়েছেন বলে জানা গেছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম